পিআর পদ্ধতিসহ ৫ দাবি আদায়ে ফের কর্মসূচি দিল ইসলামী আন্দোলন

নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ে দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

ঘোষিত কর্মসূচি হলো- ১ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত জনমত গঠনে গণসংযোগ; ১০ অক্টোবর ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে গণমিছিল এবং ১২ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দুর্গা উৎসবের কারণে প্রথম দিকে বড় কর্মসূচি সীমিত রাখা হয়েছে।

দাবিগুলো হলো- জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে আয়োজন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করা এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ফ্যাসিবাদের দোসর—জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের বিচার ও বিচারকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরই তারা সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের ইস্যুতে সরকারকে সহযোগিতা করেছেন এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘ আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। কিন্তু জুলাই সনদের মূল দাবি ‘স্বৈরতন্ত্রের স্থায়ী বিলোপ’ বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় হতাশা দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, পুলিশি হিসাব মতে আটককৃতদের ৭৩ শতাংশ জামিনে বেরিয়ে যাচ্ছে, অথচ ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িতদের বিচারধারা ধীরগতির মধ্যে রয়েছে। ইউনুছ আহমাদ আরও বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির কোনো উদ্যোগ নেই এবং জাতিসংঘ সফরে নির্বাচনের ফল আগেভাগে জানানোর চেষ্টা দেখা যাচ্ছে। সরকারকে সতর্ক করে মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘জনতার অভিপ্রায়ের ওপরে কোনো আইন বা সংবিধান নয়’ —তাই তারা দাবি পূরণে নৈতিক ও আইনগতভাবে বাধ্য।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব কাজী আতাউর রহমান জানান, জাতিসংঘের অধিবেশনে তিনটি রাজনৈতিক দলকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় সরকার পক্ষপাতিত্ব ও বৈষম্য প্রকাশ পেয়েছে; এ সিদ্ধান্ত নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে তারা মনে করছেন।

তিনি বলেন, জাতিসংঘে সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ে তিনটি দলের দুজন করে মোট ছয়জন প্রতিনিধিকে পাঠানো হয়েছে—কিন্তু কেন কোন নির্দিষ্ট বিবেচনায় এই প্রতিনিধিত্ব দেওয়া হয়েছে, তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা হয়নি।

ইউটি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পশ্চিমাদের খুশি করতে যিশুখ্রিস্টের ছবির আদলে জামায়াতের নতুন লোগো : কামরুল হুদা Oct 01, 2025
img
আদানিকে টপকে আবারও শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি Oct 01, 2025
img
ময়মনসিংহে বৃদ্ধের চুল কাটার ঘটনায় দু’জন গ্রেপ্তার Oct 01, 2025
img
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ফ্লোটিলার অভিযাত্রী হলেন ড. শহিদুল আলম Oct 01, 2025
img
তুরস্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন বিমান বাহিনী প্রধান Oct 01, 2025
img
ম্যানইউতে জীবনের কঠিন সময় নিয়ে মুখ খুললেন গারনাচো Oct 01, 2025
সব জায়গায় জামায়াতের লোক বসাচ্ছে, এই সরকার তো জামায়াতের সরকার' Oct 01, 2025
img
ড. ইউনূসকে বিধ্বস্ত-ক্লান্ত লেগেছে, তার থামা প্রয়োজন : গোলাম মাওলা রনি Oct 01, 2025
তামিমসহ ১৫ ক্লাবের প্রার্থিতা প্রত্যাহার, বিসিবি নির্বাচনে অস্থিরতা Oct 01, 2025
img
বিসিবি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন যারা Oct 01, 2025
ওয়াশিংটন ক্ষমতায় থাকেননি, ড. ইউনূস কীভাবে ৫০ বছর থাকার কথা বলেন? Oct 01, 2025
মার্কিন হামলার আশঙ্কা, পালটা পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত মাদুরো Oct 01, 2025
ইসরায়েলের ‘ডুবিয়ে দেওয়ার’ হুমকির মধ্যে গাজা অভিমুখে ফ্লোটিলা Oct 01, 2025
উপদেষ্টাদের আ.লীগ নেতৃত্ব গ্রহণের আহ্বান জানালেন রাশেদ খান Oct 01, 2025
হতাশার মুহূর্তে যীশুর পাশে অমিতাভ বচ্চন! Oct 01, 2025
ভাবনার মতে হারের ভেতর লুকিয়ে থাকে নতুন সম্ভাবনা Oct 01, 2025
নোংরামির সঙ্গে থাকব না, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য কালো দাগ হয়ে গেল: তামিম Oct 01, 2025
img
জুবিন গার্গ আমাকে ফেমাস করেছেন : অনন্ত জলিল Oct 01, 2025
img
মার্শের ঝড়ে নিউজিল্যান্ডকে থমকে দিল অস্ট্রেলিয়া Oct 01, 2025
img
সাতক্ষীরায় বন্ধ হলো ইন্ডিয়ান ভিসা সেন্টার Oct 01, 2025