আ. লীগ নিয়ে ড. ইউনূসের সরকার ছেলেখেলা করছে : নিলোফার চৌধুরী মনি

বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক এমপি নিলোফার চৌধুরী মনি বলেছেন, ‘আ. লীগকে নিয়ে ড. ইউনূসের সরকার ছেলেখেলা করছে। রাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তি যিনি নির্বাহী আদেশে এগুলো বন্ধ করলেন উনি যদি আবার এই ধরনের কথা বলেন- তাহলে উনি যে ভয়ে আছেন, ভয় পাচ্ছেন, আবার আগের জায়গায় ফেরত দিতে চাচ্ছেন এটা প্রমাণ হয়ে যায়। তাহলে ওনাদের ছেলেখেলার অর্থ কী? এরকম- আমি যেভাবেই হোক না কেন ক্ষমতায় থাকব। ক্ষমতায় থাকার জন্য, চেয়ারকে আকড়ে ধরে রাখার জন্য যখন যা খুশি তাই বলব।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে সম্প্রতি এক টেলিভিশন টক শোতে তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সরকারকে নিয়ে এসব কথা বলেন। নিলোফার চৌধুরী বলেন, ‘দেশের ৪৬ শতাংশ মানুষ মনের দিক থেকে মরে গেছে, তাদের কিভাবে জীবন্ত করবেন? সরকার বা যেই হোক না কেন কাউকে উপড়ে তুলতে চাইলে তার সমালোচনা করো। তাকে নিয়ে কারণে অকারণে কথা বলো। সরকারের এই কারণে অকারণে মানুষগুলো পালিয়ে যেতে বাধ্য হলো একটা দেশের।

বায়তুল মোকাররমের খতিব থেকে শুরু করে প্রধান বিচারপ্রতি, সংসদের স্পিকার থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী। আমরা কিন্তু পালিয়ে যেতে বলি নাই। আমরা বিচার চেয়েছি।’ নিলোফার বলেন, ‘সেইসব মানুষ ফিরে আসবে কিনা, সরকারপ্রধানকে যদি ভয় দেখায়, সরকারপ্রধান এই ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আবোলতাবোল বলে।

যখন আওয়ামী লীগকে নীষিদ্ধ করল তার তিন-চার দিন আগে উনি বলেছিলেন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে না। ওনার আইন উপদেষ্টাও বলেছিলেন, এইভাবে নিষিদ্ধ করা যায় না।’
নিলোফার আরো বলেন, ‘ওনারা ওনাদের কিংস পার্টি নামে খ্যাত তাদেরকে মাঠে নামিয়ে দিলেন। ঠাণ্ডা পানির প্রলেপ দিলেন, মঞ্চ করার পারমিশন দিলেন, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার অনুমতি দিলেন। তারপরে দুই দিনের মাথায় নিষিদ্ধ করলেন।

ওনারা নিষিদ্ধই বললেন তখন, নিষিদ্ধ ১০ বার বলার পরে একবার হয়তো স্থগিত বলেছিলেন কি বলেন নাই। যখন লন্ডনে গিয়ে উনি বিদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকার দিতে শুরু করলেন তখন এই চাপাচাপিতে নিষিদ্ধের জায়গায় নিষিদ্ধ না বলে উনি স্থগিতের কথা বললেন। আবার এতদিন পরে উনি স্থগিতের জায়গায় গিয়ে বললেন যেকোনো সময় উইথড্র হতে পারে। এটা ভয় না দুর্বলতা না উনি চান? আমার তো মনে হয় উনি চান ওনার মনের অজান্তে।’

এসএস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সারাদেশে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার ৬৯ Oct 03, 2025
img
ভারতীয় কৃষিপণ্য ও ওষুধ কিনবে রাশিয়া Oct 03, 2025
img
শাকিবের ‘প্রিন্স’ প্রি-প্রোডাকশনে কী করছেন আমির খান? Oct 03, 2025
img
যে সম্ভাবনা ছিল, হাসিনাকে সমর্থন দিয়ে সাকিব তা নষ্ট করেছে বললেন আসিফ মাহমুদ Oct 03, 2025
img
গাজামুখী শেষ নৌযান ম্যারিনেটও আটক Oct 03, 2025
img
‘ফিলিস্তিন মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা পাশে থাকবো’ Oct 03, 2025
img
আওয়ামী লীগ না থাকায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে জামায়াত : জাহেদ উর রহমান Oct 03, 2025
img
এখনও এগিয়ে যাচ্ছে ৯ জাহাজ, কৌশল প্রকাশ করলেন শহিদুল আলম Oct 03, 2025
img
ঢাকাকে সলিডারিটি হাব বানাতে হবে: ফরহাদ Oct 03, 2025
img
সমঝোতা হলে ১০০ আসন ছাড়বে জামায়াত : পরওয়ার Oct 03, 2025
img
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনগত কোনো বাধা নেই : অ্যাটর্নি জেনারেল Oct 03, 2025
img
আমাদের মূল লক্ষ্য বিশ্বকাপ, হারার পরে বললেন রশিদ খান Oct 03, 2025
img
নব্বই দশকের ‘ক্রাশ’ দিব্যা ভারতীর অকাল বিদায় আজও রহস্যময় Oct 03, 2025
img
পুলিশের সঙ্গে হামলার স্থানে যাচ্ছেন হিরো আলম Oct 03, 2025
img
জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতার রাজনীতি করে না : আমির আব্দুস সবুর Oct 03, 2025
img
বাংলাদেশসহ ১৭ দল নিশ্চিত করল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিট Oct 03, 2025
img
আলজেরিয়া জাতীয় দলে জায়গা পেলেন জিদান পুত্র Oct 03, 2025
img
ড. ইউনূসের কথা আর কাজের মধ্যে অনেক পার্থক্য : জিল্লুর রহমান Oct 03, 2025
img
ভাষা সৈনিক আহমদ রফিকের মৃত্যুতে ঢাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Oct 03, 2025
img
জামায়াত-শিবিরের অন্য দলে কর্মী যুক্ত করার নীতি বন্ধ করতে হবে : রাশেদ খান Oct 03, 2025