১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কিউই বোলারদের সামনে যেন কেউই টিকতে পারছিলেন না। একের পর এক উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন ব্যাটাররা। মিচেল ওয়েন ও সেন অ্যাবট ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘর। ট্রাভিস হেড ৮, ম্যাথিউ শর্ট ৭, টিম ডেভিড ৩, অ্যালেক্স ক্যারি ১, মার্কাস স্টয়েনিস ২ ও জাভিয়ের বার্টলেট আউট হন ১ রান করে।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে একাই তাণ্ডব চালায় মিচেল মার্শ। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। ৪৩ বলে খেলেছিলেন ৮৫ রানের ইনিংস। কিন্তু সিরিজের শেষ ম্যাচে আর তাকে নিরাশ হতে হয়নি। ৫২ বলে অপরাজিত ১০৩ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন মার্শ। নিউজিল্যান্ডের হয়ে জেমস নিশাম একাই নেন ৪ উইকেট। এছাড়া জ্যাকব ডাফি নেন ২টি এবং বেন সিয়ার্স নেন ১টি উইকেট।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের শুরুটাও ভাল হয়নি। স্কোরবোর্ডে ৭ রান যোগ হতেই ওপেনার কনওয়েকে হারায় তারা। এরপর রবিনসন আউট হন ১০ বলে ১৩ রান করে। চ্যাপম্যানও ফেরেন দ্রুতই, আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫ বলে ৪ রান। পাওয়ার প্লেতেই ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে বসে নিউজিল্যান্ড।
ড্যারিল মিচেল খেলেছেন মাত্র ১০ বল। ৯ রান করে স্টয়েনিসের বলে অ্যালেক্স ক্যারির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ব্যাটার। অধিনায়ক মাইকেল ব্রেচওয়েল দলের হাল ধরেছিলেন ঠিকই, তবে বেশিদূর নিতে পারেননি। ২২ বলে ২৬ রান করা এই ব্যাটারকে শিকার করেন অ্যাডাম জাম্পা।
জেমস নিশামকে শিকার করেন বার্টলেট, ১৮ বলে ২৫ রান করে অ্যাবটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর বাকি ব্যাটারদের কেউই ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘর। ম্যাট হেনরি ৮ বলে ৬ ও বেন সিয়ার্স আউট হন কোনো রান না করেই। শেষ দিকে ইশ সোধি ৭ বলে ৯ ও ডাফি ১ বলে ১ রান করে অপরাজিত থাকেন। অজিদের হয়ে অ্যাবট নেন ৩ উইকেট। এছাড়া হ্যাজেলউড ও বার্টলেট নেন ২টি করে উইকেট। জাম্পা ও স্টয়েনিস নেন একটি করে উইকেট।
এবি/টিকে