দীর্ঘ আইনি জটিলতা, বিতর্ক ও নাটকীয়তার পর অবশেষে আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন। তবে নির্বাচনের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত পরিচালক হিসেবে বোর্ডের মসনদে বসা নিশ্চিত করে ফেলেছেন সাবেক টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল, যিনি বিসিবির পরবর্তী সভাপতি হতে যাচ্ছেন।
গত কয়েক মাস ধরে বিসিবি নির্বাচনকে ঘিরে আদালত, পালটা আদালত, সংবাদ সম্মেলন এবং একের পর এক নাটকের জন্ম হয়েছে। এই নির্বাচন দেশের ক্রিকেটের খবরকেও ছাপিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত দুটি পদ বাদে মোট ২৩টি পরিচালক পদের মধ্যে আট জন পরিচালক এরই মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। এর মধ্যে জেলা ও বিভাগ ক্যাটাগরি থেকে জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আমিনুল ইসলাম বুলবুল নির্বাচিত হয়েছেন। একইসঙ্গে নাজমুল আবেদিন ফাহিমও বিনা ভোটে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন।
আজ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত হোটেল সোনারগাঁওয়ে ১৫টি পরিচালক পদের জন্য ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন শেষে নির্বাচিতরা সভায় বসে আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবির সভাপতি ও সিনিয়র সহসভাপতি নির্বাচন করবেন। তবে বুলবুলের সভাপতি হওয়াটা এখন কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা।
বুলবুল বলেন, "পৃথিবীর সেরা নির্বাচন হচ্ছে। যেদিন বাংলাদেশের দুটো ম্যাচ... কিন্তু আসল নিউজ হয়েছে নির্বাচনকে ঘিরে।" তিনি তাঁর ক্ষমতাকালে দেশের ক্রিকেটের জন্য কাজ করার স্বপ্ন প্রকাশ করেন এবং নির্বাচন ঘিরে নানা প্রতিকূলতার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন।
এবারের নির্বাচনের অন্যতম আলোচিত দিক ছিল কাউন্সিলর মনোনয়ন ও ১৫টি ক্লাবের ভোটাধিকার নিয়ে বিতর্ক। খসড়া ভোটার তালিকায় ১৫ ক্লাবের নাম না থাকায় সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ আদালতে যান। আদালতের রায়ে ভোটাধিকার স্থগিত হলে প্রার্থী তামিম ইকবাল ও তাঁর সঙ্গীরা নাম প্রত্যাহার করে নেন। গতকাল আদালত ১৫ ক্লাবের ভোটাধিকার পুনরায় ফিরিয়ে দিয়েছে। যদিও সরে যাওয়া প্রার্থীরা সমঝোতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন এবং গতকাল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে 'নির্বাচনে অস্থিরতা ও দৃষ্টিকটু হস্তক্ষেপে অসহায় ক্রিকেট সংগঠকদের স্মারকলিপি' দিয়েছেন।
এমআর/টিকে