ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। এই সিরিজ দিয়ে ওয়ানডে দলে ফিরছেন ৩৫ বছর বয়সী তারকা পেসার মিচেল স্টার্ক। গত বছরের নভেম্বরে শেষবার ওয়ানডে খেলেছিলেন এই বাঁহাতি পেসার। স্টার্ক ফিরলেও বাদ পড়েছেন ব্যাটসম্যান মারনাস লাবুশেন।
লাবুশেনের ওয়ানডে স্কোয়াড থেকে বাদ পড়াটা প্রত্যাশিতই ছিল। এই সংস্করণে সর্বশেষ ১০ ইনিংসে তার সর্বোচ্চ স্কোর ৪৭। লাবুশেনের জায়গায় ওয়ানডে স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন ম্যাট রেনশ। ২৯ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের আসন্ন ওয়ানডে সিরিজেই অভিষেক হতে পারে। এর আগে ২০২২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে স্কোয়াডে ডাক পেলেও সেবার খেলার সুযোগ পাননি তিনি।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১৯ অক্টোবর পার্থে। সাউথ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শেফিল্ড শিল্ডে ম্যাচ থাকায় এই ম্যাচ খেলতে পারবেন না উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারি। অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনকে ওয়ানডে স্কোয়াডে নেওয়া হলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাইরে রাখা হয়েছে। অ্যাশেজের প্রস্তুতি নিতে তিনি ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শেফিল্ড শিল্ডে খেলবেন।
অ্যাশেজ সামনে রেখে লাবুশেনেরও শেফিল্ড শিল্ডে রান করে টেস্ট দলে ফেরার সুযোগ আছে। তাসমানিয়ার বিপক্ষে ১৬০ রানের ইনিংসে মৌসুমে শুরুটা দারুণ করেছেন তিনি। এদিকে ওয়ানডে সিরিজের পর ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও খেলবে অস্ট্রেলিয়া। এ সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচের স্কোয়াডও ঘোষণা করেছে সিএ।
চোট থেকে সেরে না ওঠায় গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের বাইরে রাখা হয়েছে। ৩১ বছর বয়সী নাথান এলিসকে এই সংস্করণে ফেরানো হয়েছে। ২৯ অক্টোবর ক্যানবেরায় অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ।
অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে স্কোয়াড: মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), হ্যাভিয়ের বার্টলেট, অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটকিপার), কুপার কনোলি, বেন ডওয়ারশুইস, নাথান এলিস, ক্যামেরন গ্রিন, জশ হ্যাজলউড, ট্র্যাভিস হেড, জশ ইংলিশ (উইকেটকিপার), মিচেল ওয়েন, ম্যাট রেনশ, ম্যাথু শর্ট, মিচেল স্টার্ক ও অ্যাডাম জ্যাম্পা।
অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড (প্রথম দুই ম্যাচ): মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), শন অ্যাবোট, হ্যাভিয়ের বার্টলেট, টিম ডেভিড, বেন ডওয়ারশুইস, নাথান এলিস, জশ হ্যাজলউড, ট্র্যাভিস হেড, জশ ইংলিশ (উইকেটকিপার), ম্যাথু কুনেমান, মিচেল ওয়েন, ম্যাথু শর্ট, মার্কাস স্টয়নিস ও অ্যাডাম জ্যাম্পা।
ইএ/টিকে
