বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার বাড়ার পাশাপাশি ভালো নেই কর্মসংস্থানের বাজারও। ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে এবং শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ কমে ৬০.৯ শতাংশ থেকে ৫৮.৯ শতাংশে নেমে এসেছে। একই সঙ্গে নতুনভাবে শ্রমবাজারের বাইরে থাকা ৩০ লাখ কর্মক্ষম জনগণের মধ্যে প্রায় ২৪ লাখই নারী।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সংস্থাটির ঢাকা অফিসে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রকাশ করা হয়। এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ডিভিশন ডিরেক্টর নিযুক্ত জ্যঁ পেম উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্মসংস্থানের অবস্থা ২০২৪ থেকে ২০২৫ অর্থবছরে অবনতি ঘটেছে। অর্থনৈতিক চাপ, মূল্যস্ফীতি ও নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ হ্রাসের ফলে সামগ্রিক শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ২০২৫ অর্থবছরে জাতীয় দারিদ্র্যের হার বেড়ে ২১ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২৪ অর্থবছরে ছিল ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে দারিদ্র্য বেড়েছে প্রায় ০.৭ শতাংশ পয়েন্ট।
শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ কমেছে
২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার ৬০.৯ শতাংশ থেকে কমে ৫৮.৯ শতাংশে নেমে এসেছে।
এই পতনের প্রধান কারণ হলো নারীদের অংশগ্রহণ হ্রাস। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর বাইরে বেড়েছে নারী সংখ্যা।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, অতিরিক্ত ৩০ লাখ কর্মক্ষম মানুষ শ্রমবাজারের বাইরে চলে গেছেন, যার মধ্যে প্রায় ২৪ লাখই নারী। এটি নারীদের কর্মসংস্থান সংকটে পড়ার এক উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরে।
মোট কর্মসংস্থান হ্রাস
এসময়কালে মোট কর্মসংস্থান প্রায় ২০ লাখ কমে গেছে, ফলে মোট কর্মরত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৯১ লাখে (৬৯.১ মিলিয়ন)।
এর ফলে কর্মসংস্থান-জনসংখ্যা অনুপাত ২.১ শতাংশ পয়েন্ট কমে ৫৬.৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
ইএ/টিকে