জুলাই আন্দোলন প্রত্যাহারে রাজি না হলে সব আন্দোলনকারীদের হত্যা করার নির্দেশ ছিলো শেখ হাসিনার। আন্দোলনে গুম, অপহরণ হবার পর গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এমনটা বলেই আন্দোলনকারীদের হুমকি দিয়েছেন। ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে এসে এই তথ্য জানালেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া।
চব্বিশের ৫ আগস্টে গণঅভ্যুত্থান চলাকালে রাজধানীর চানখারপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ তিনি সাক্ষ্য দেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুর দুইটায় তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন।
আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া বলেন, রাষ্ট্রীয় নানা স্থাপনায় নিজেরাই আগুন দিয়ে সরকারের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করে ফ্যাসিস্ট সরকার। তিনি আরও বলেন, গুম করে জোর করে প্যাথেড্রিন ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে রাখা হয় তাকে। জুলাইতে নির্মমতার বর্ণনা তুলে ধরে পলাতক ফ্যাসিস্ট সরকার প্রধান শেখ হাসিনাসহ জুলাই গণহত্যার সাথে জড়িত প্রত্যেকের বিচার দাবি করেন তিনি।
গুমে জড়িত সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু বিচারবিভাগের জন্য মাইলফলক উল্লেখ করে অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান এই উপদেষ্টা। আওয়ামী লীগের বিচার শুরু জন্য তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ায়ও খুশি তিনি।
এছাড়া পলাতক শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগও সাক্ষ্য দেয়ার পর সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরেন আসিফ। আজ বেলা পৌনে তিনটা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী দেন এই উপদেষ্টা। আগামী ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত এ মামলার বিচার কাজ মুলতবি করা হয়েছে।
এবি/টিকে