২ হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলেও ১ জনকে ছাড়বে না ইসরায়েল

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে বন্দি বিনিময়ের প্রস্তাবে উভয় পক্ষ সম্মত হলেও একজন ব্যক্তির বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। তিনি হচ্ছেন মারওয়ান বারঘুতি। ‘ফিলিস্তিনের নেলসন ম্যান্ডেলা’ নামে পরিচিত বারঘুতি ২৩ বছর ধরে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র শোশ বেদ্রোসিয়ান বলেছেন, আমি এই মুহূর্তে নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, বারঘুতিকে এই বন্দি বিনিময়ের অংশ করা হবে না।

চুক্তি অনুযায়ী, গাজায় বন্দি থাকা ইসরায়েলি নাগরিকদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে আটক প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে এক হাজার ৭০০ জন পুরুষ এবং বাকি নারী ও শিশু।

বারঘুতি ১৯৫৯ সালে পশ্চিম তীরের রামাল্লার কোবারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ফিলিস্তিনি রাজনীতির অন্যতম প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত। ২০০২ সালে তাকে গ্রেফতার করে ইসরায়েলি বাহিনী। পরে ২০০৪ সালে পাঁচটি হত্যা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ফাতাহ আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয় নেতা বারঘুতি ২০০০–২০০৫ সালের দ্বিতীয় ইন্তিফাদায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

জনমত জরিপে দেখা গেছে, ৬৬ বছর বয়সী বারঘুতিকে মুক্তি দিলে তিনি ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় প্রার্থী হবেন।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, কাতার ও মিশরসহ কয়েকটি মধ্যস্থতাকারী দেশ বারঘুতির মুক্তি নিশ্চিত করতে সক্রিয়ভাবে প্রচেষ্টা চালিয়েছে। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং মিশরের গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল হাসান মাহমুদ রশাদ ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়ে মধ্যস্থতা করেছেন বলেও জানা গেছে।

যদিও এসব উদ্যোগ সত্ত্বেও ইসরায়েল সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কোনো পরিস্থিতিতেই তারা বারঘুতিকে মুক্তি দেবে না।

সূত্র: মিডল ইস্ট আই

এমকে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শেখ হাসিনার ৮৩২ ভরি সোনা, শাওন বললেন ‘চকবাজার মার্কা জিনিস’ Nov 27, 2025
img
হাঁটু ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা, তবুও অনুশীলনে নেইমার Nov 27, 2025
img
উপদেষ্টা পরিষদে চার অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন Nov 27, 2025
img
চীনের সঙ্গে উত্তেজনা আর না বাড়াতে জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান ট্রাম্পের Nov 27, 2025
জুলাই বিপ্লবকে ‘তথাকথিত’ বলে বিচারের আদেশ পুনর্বিবেচনা চান ইনু Nov 27, 2025
পেছালো এনসিপির জোট গঠন Nov 27, 2025
প্লট দুর্নীতির মামলায় হাসিনা যে সাজা পেলো! Nov 27, 2025
img
খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় বিএনপির কর্মসূচি Nov 27, 2025
img
বিজিবির অভিযানে ৭১০ কোটি টাকার চোরাইপণ্য জব্দ, গ্রেপ্তার ৫২৬ Nov 27, 2025
img
ডেঙ্গুতে একদিনে ৭ জনের মৃত্যু Nov 27, 2025
img
নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে নির্দেশনা দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় : ইসি Nov 27, 2025
img
নতুন স্বাধীনতা নিরাপদ রাখতে হবে তরুণদের : মনির হায়দার Nov 27, 2025
img
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফের ভূমিকম্প অনুভূত Nov 27, 2025
img
পুনরায় নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এইচএসসি বাংলার সিলেবাস একই থাকবে Nov 27, 2025
img
বিপিএলের নিলামে অংশ নিচ্ছেন ভারতীয় ৩ তারকা Nov 27, 2025
img
প্রধান বিচারপতির বিদায়ী অভিভাষণ ১৪ ডিসেম্বর Nov 27, 2025
img
ধর্মেন্দ্রকে নিয়ে হৃদয়স্পর্শী বার্তা হেমা মালিনীর Nov 27, 2025
img
৪ গোল করা এমবাপের প্রশংসায় রিয়াল কোচ Nov 27, 2025
img
সৌদি-মালয়েশিয়াসহ ৭ দেশে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন স্থগিত Nov 27, 2025
img
বিপিএলের নিলামে আইপিএলজয়ী ভারতীয় ক্রিকেটার পীযুষ চাওলা Nov 27, 2025