মডেলিং জগতের বরপুত্র আদিল হোসেন নোবেলকে এখন টেলিভিশনের পর্দায় খুব একটা দেখা যায় না। করপোরেট জগতে ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করছেন, এর ফাঁকে সময় পেলে মাঝেমধ্যে চমক নিয়ে হাজির হন।
যেই মডেলিংয়ের জন্য তিনি আজ এত বিখ্যাত সেই মডেলিং নিয়ে শুরুতে তার মায়ের আপত্তি ছিল বলে জানিয়েছেন এই তারকা। সম্প্রতি ‘বিহাইন্ড দ্য ফেইম উইথ আরআরকে’ পডকাস্টে হাজির হয়ে এমনটা জানিয়েছেন নোবেল।
সেখানে এই তারকা জানান, ছোটবেলা থেকেই কড়া শাসনের মধ্যে তাকে বড় হতে হয়েছে। খেলাধুলা পাগল নোবেলকে ক্রিকেট খেলার ব্যাপারে বরাবরই নিরুৎসাহ করতেন তার মা। কারণ দিনব্যাপী খেলার পেছনে সময় বের করতে গিয়ে পড়াশোনার ক্ষতি হতে পারে।
শুধু খেলাধুলাই নয়, প্রথমবার মডেলিং করার ঠিক আগের দিন আপত্তি জানিয়েছিলেন মা।
তবে মনের ভেতর সে সময় নোবেল শপথ করেছিলেন, একদিন মায়ের দুশ্চিন্তা তিনি দূর করবেনই। পরবর্তীতে তিনি কথা রেখেছেন। তারকাখ্যাতি পেয়েও নোবেল নিজের ব্যক্তিত্ব, সততা ধরে রেখেছেন আজ পর্যন্ত।
নোবেল বলেন, ‘কোনো কিছু পেয়ে গেলে ছন্নছাড়া হয়ে যাওয়ার কিছু নেই। নিজের সেলফ কন্ট্রোল মেকানিজম ঠিক থাকলে সব কিছুই সহজ।’
শুরু থেকেই ভীষণ দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নোবেল আরো বলেন, তার ক্যারিয়ারের প্রথম টিভিসি এখনো অনএয়ার হয়নি। সে সময় তিনটি কোমল পানীয়র বিজ্ঞাপনচিত্র করেছিলেন মডেল ইমরান (কোকাকোলা), সালমান শাহ (ফান্টা) ও নোবেল (স্প্রাইট)। তবে টেকনিক্যাল কারণে শুধু সালমান শাহের বিজ্ঞাপনচিত্রটিই প্রচারিত হয়েছিল।
নোবেল নিজেও চেয়েছিলেন, তার করা প্রথম টিভিসি যেন অনএয়ার না হয়।
নিজেকে পর্দায় দেখে, সেই কাজটির মান নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। সে সময়ই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন ভালো-মন্দের তফাৎ।
পরবর্তীতে আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় একটি চায়ের বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেন এবং তুমুল জনপ্রিয় হন। ৩৪ বছর ধরে শীর্ষ পুরুষ মডেলের খেতাবটাও তিনি ধরে রেখেছেন। বাংলাদেশের প্রথম প্যাকেজ নাটক ‘প্রাচীর পেরিয়ে’র নায়কও তিনি। এরকম অনেক বলা-না বলা কথা নোবেল বলেছেন ‘বিহাইন্ড দ্য ফেইম উইথ আরআরকে’-তে।
কেএন/টিকে