দিল্লিতে বসে হাসিনার অপরাজনীতি চলবে না : রাশেদ প্রধান

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, দেশের মানুষ যখন পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন চায়, তখন সংবিধানের দোহাই দেওয়া হয়। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে সব বিষয়ে সংবিধান মানলে এই অন্তর্বর্তী সরকারও অবৈধ। দিল্লি সরকারের আধিপত্য ও দিল্লিতে বসে হাসিনার অপরাজনীতি চলবে না। কথাবার্তা পরিষ্কার, সিদ্ধান্ত নেবে এ দেশের জনগণ।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে ৭ দফা দাবিতে রাজধানীর বিজয়নগর-পল্টন এলাকায় জাগপার বিক্ষোভ মিছিল শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদ প্রধান বলেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রাজি ছিল না, পরে আন্দোলন করেছে। এখন পিআর পদ্ধতিতে রাজি না হলেও পরে ঠিকই আন্দোলন করবে। এই বিএনপি গণভোটেও রাজি ছিল না, এখন রাজি হয়েছে।

জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজন করলে, গ্রামের মানুষের একাধিক প্রশ্ন, পরে গণভোটের উত্তর দিতে অনেক সময় লাগবে। সময়মতো ভোট শেষ হবে না। তাই গণভোট জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে হতে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেরিতে হলেও দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার শুরু করেছেন, আপনাদের ধন্যবাদ। একই সঙ্গে জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের বিচার শুরু করেন, তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেন।
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করেন। আগামী জাতীয় নির্বাচন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে, পিআর পদ্ধতিতে, ভারতের প্রভাবমুক্ত হতে হবে।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মো. সফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর সভাপতি শ্যামল চন্দ্র সরকার, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবুল, শ্রমিক জাগপা সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, যুব জাগপা সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।

এদিকে জাগপার ৭ দফা দাবি নিয়ে দেশের সাত বিভাগীয় শহরেও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রামে প্রেসিডিয়াম মেম্বার এ এম এম আনাছ, খুলনায় প্রেসিডিয়াম মেম্বার মো. নিজামদ্দিন অমিত, রাজশাহীতে প্রেসিডিয়াম মেম্বার মো. শামীম আক্তার পাইলট, সিলেটে সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহজাহান আহমদ লিটন, ময়মনসিংহে প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক এস এম জিয়াউল আনোয়ার, বরিশালে জেলা সমন্বয়ক নান্নু হাওলাদার এবং রংপুরে জেলা সমন্বয়ক মাসুম বিল্লাহর নেতৃত্বে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

টিজে/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দেড় যুগ পর পুরোনো ঠিকানায় ফিরছেন বালাম Oct 11, 2025
img
শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি প্রদর্শনসংক্রান্ত অনুচ্ছেদ বাতিল চায় ঐকমত্য কমিশন Oct 11, 2025
img
মালদ্বীপে ‘হিউম্যান হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন ৫ বাংলাদেশি প্রবাসী Oct 11, 2025
img
নোবেল জয়ী মাচাদোকে অভিনন্দন জানালেন প্রধান উপদেষ্টা Oct 10, 2025
img
পুলিশ এখন বানরের মতো হয়ে গেছে, ওসির ক্ষোভ প্রকাশ Oct 10, 2025
img
অবকাঠামো উন্নয়ন তদারকিতে আনিকদের বরাদ্দ দিলো ডিএনসিসি Oct 10, 2025
img
ব্যাটিং ব্যর্থতায় নিউজিল্যান্ডের কাছে বড় হার বাংলাদেশের Oct 10, 2025
বে জীবনের লক্ষ্য ঠিক করবেন | ইসলামিক টিপস Oct 10, 2025
ইসরাইলের জেল থেকে রেহাই পেলেন শহিদুল আলম! Oct 10, 2025
নানা চরিত্রে অভিনয়, ভোটার টানতে ভিন্ন কৌশলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ! Oct 10, 2025
'জামায়াতের সাথে বিএনপির সিট ভাগাভাগির প্রশ্নই আসে না Oct 10, 2025
img
২০২৭ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় ৪০ হাজার কোটি ইউরো বিনিয়োগের পরিকল্পনা ইইউর Oct 10, 2025
img
অনেক রং মিশে যেমন রংধনু, তেমনই সবাই মিলে বাংলাদেশ : আমীর খসরু Oct 10, 2025
img
ফিলিপিন্সে ভূমিকম্পে ৭ জন নিহত Oct 10, 2025
img
মারুফার জীবনের গল্প শুনে চোখ ভিজবে আপনারও Oct 10, 2025
img
হংকংয়ে হামজারা, জর্ডানে অর্পিতারা Oct 10, 2025
img
আমাদের কোয়ালিফায়ারে খেলা মানায় না: তানজিম Oct 10, 2025
img
সামোয়ার হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই জয়ের স্বাদ টেইলরের Oct 10, 2025
img
নোবেল শান্তি পুরস্কার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উৎস্বর্গ করলেন মারিয়া কোরিনা মাচাদো Oct 10, 2025
img
দেড় বছর বাড়ির বাইরে যেতে পারেননি পরীমণি, কারণ কী? Oct 10, 2025