আরেক দেশে ইসরায়েলের হামলা

লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে একজন নিহত এবং সাতজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাতে দক্ষিণ লেবাননে এ হামলা হয়। অঞ্চলটিতে যুদ্ধবিরতি চললেও সেখানে প্রায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, হামলায় মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে বৈরুতের সঙ্গে দক্ষিণ লেবাননের কিছু অংশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মাসাইলেহ গ্রামে ভোরের দিকেও বিমান হামলা হয়। সেখানে ভারী যন্ত্রপাতি বিক্রির একটি স্থানে বোমা আঘাত হানে। যার ফলে বিপুলসংখ্যক যানবাহন ধ্বংস হয়ে যায়।

হিজবুল্লাহর আল-মানার টিভি জানায়, হামলার সময় পাশ দিয়ে যাওয়া সবজি বহনকারী একটি গাড়িতে বিস্ফোরক আঘাত হানে। এতে একজন নিহত এবং একজন আহত হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরে বলেছে, নিহত ব্যক্তি সিরিয়ার নাগরিক, আহতদের একজন সিরিয়ার নাগরিক এবং ছয়জন লেবানিজ।

মার্কিন-মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গত বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে ১৪ মাসের ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধ শেষ হয়। এরপর থেকে ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই বিমান হামলা চালিয়েছে।

যার ফলে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছেন। যুদ্ধের সময় গোষ্ঠীটি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার পর হিজবুল্লাহ তাদের সক্ষমতা পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করছে বলে ইসরায়েল অভিযোগ করেছে। আর লেবানন বলছে, হিজবুল্লাহকে ধ্বংসের নামে নিরীহ মানুষদের লক্ষ্যবস্তু করছে ইসরায়েল। এ ধরনের কাজ মানবাধিকারবিরোধী।
এদিকে গাজার বিভিন্ন স্থান থেকে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

এ অবস্থায় বাস্তুচ্যুত হাজার-হাজার ফিলিস্তিনি ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। অন্যদিকে, ইসরায়েল থেকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হাতে জিম্মি ব্যক্তিদের ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে তাদের পরিবার।

টানা দুই বছর ধরে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় শোকে কাতর হয়ে পড়া গাজাবাসী যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর বাড়ি ফিরতে পেরে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছে।
খান ইউনিস থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরপরই গতকাল থেকে হাজার-হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি গাজা অভিমুখে যাত্রা করে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img

মোস্তফা ফিরোজ

কমিশন কি পারবে সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করতে? Oct 11, 2025
img
নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ বিএনপি : মীর হেলাল Oct 11, 2025
img
সৈকতের নিভৃতে মাহিকার সঙ্গে দেখা গেল হার্দিককে Oct 11, 2025
img
গুমের ঘটনা নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন সালাহউদ্দিন Oct 11, 2025
img
সংবাদকর্মীদের ভোটকক্ষে প্রবেশে কোনো বাধা থাকা উচিত নয় : সাখাওয়াত হোসেন Oct 11, 2025
img
অপরাধীদের বিচার ও বাহিনী সংস্কার ছাড়া গণতন্ত্র অসম্ভব : আখতার Oct 11, 2025
মুনাফিকের ভয়াবহ পরিণতি | ইসলামিক জ্ঞান Oct 11, 2025
যেভাবে ইসলাম প্রচার করবেন | ইসলামিক টিপস Oct 11, 2025
১ মাসের মধ্যে শেষ হবে বিপিএল, থাকবে ৫ টা দল: ইফতেখার মিঠু Oct 11, 2025
বিপিএলে বড় পরিবর্তন, ফরচুন বরিশাল কি থাকবে মাঠে? Oct 11, 2025
ফার্নিচার ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নতুন অধ্যায় শুরু Oct 11, 2025
ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া Oct 11, 2025
রাকসু নির্বাচনে জয়লাভ করলে রাবিতে হামজা চৌধুরীকে আনতে চান প্রার্থী Oct 11, 2025
আমরা কুমিল্লা নামে বিভাগ না নিয়ে ঘরে ফিরব না Oct 11, 2025
img
আল-আকসা মসজিদের খতিবের ওপর ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা Oct 11, 2025
রাকসু নির্বাচনে নারীরা পিছিয়ে কেন? Oct 11, 2025
দেশে ফিরে যা জানালেন শহিদুল আলম Oct 11, 2025
যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক কারখানায় বিস্ফোরণ, নিখোঁজ ১৯ Oct 11, 2025
'বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে জবি ছাত্রদল নেতা হাসিবের নাম' Oct 11, 2025
৫ বছর পর ঢামেক হাসপাতালে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট সেবা পুনরায় শুরু Oct 11, 2025