বয়স আট হোক বা আশি অ্যালার্জি আজকাল খুব সাধারণ একটি সমস্যা। অনেক সময় এটি নিজে একটি রোগ, আবার কখনো অন্য রোগের উপসর্গ হিসেবেও দেখা দেয়। ত্বকে অ্যালার্জি তো চেনা সমস্যা, তবে চোখ, শ্বাসনালী কিংবা হজমনালিতে অ্যালার্জি হলে তা হয়ে উঠতে পারে বিপজ্জনক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকলে অনেকাংশেই অ্যালার্জি দূরে রাখা যায়।
আর এই প্রতিরোধ গড়তে সাহায্য করে সঠিক খাবার। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিনের খাবারে কিছু নির্দিষ্ট উপাদান রাখলে অ্যালার্জির ঝুঁকি কমে যায়। চলুন, জেনে নিই এমন ৫টি উপকারী খাবারের কথা।
ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল ও সবজি
ভিটামিন-সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরে হিস্টামিন নামক রাসায়নিকের মাত্রা কমায়। হিস্টামিনই মূলত অ্যালার্জির উপসর্গের জন্য দায়ী।
যে খাবারে পাবেন: আমলকী, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, কিউই, পেঁপে, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
ওমেগা-৩ শরীরে প্রদাহ কমাতে দারুণ কার্যকর। অ্যালার্জির উপসর্গ হ্রাস করতে সাহায্য করে।
যে খাবারে পাবেন: স্যালমন, টুনা, ম্যাকেরেল বা অন্যান্য তৈলাক্ত মাছ; উদ্ভিজ্জ উৎস হিসেবে আখরোট ও তিসি বীজ (ফ্ল্যাক্সসিড)।
প্রোবায়োটিক
প্রোবায়োটিক হলো অন্ত্রের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া। অন্ত্র সুস্থ থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী হয়। ফলে অ্যালার্জির প্রবণতা কমে।
যে খাবারে পাবেন: টক দই, বাটারমিল্ক
কুয়ারসেটিন সমৃদ্ধ খাবার
কুয়ারসেটিন এক ধরনের প্রাকৃতিক অ্যান্টি-হিস্টামিন, যা অ্যালার্জির কারণে হওয়া প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। যে খাবারে পাবেন: লাল পেঁয়াজ, আপেল (খোসা সহ), আঙুর, বেরি, ব্রকলি, গ্রিন টি।
হলুদ
হলুদের কারকিউমিন উপাদান অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি হিসেবে কাজ করে। এটি অ্যালার্জি সংক্রান্ত প্রদাহ কমাতে বিশেষভাবে উপকারী।
খাওয়ার উপায় : সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদের সঙ্গে কয়েকটি গোলমরিচ চিবিয়ে খেতে পারেন।
এই খাবারগুলো নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের অ্যালার্জির প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেন। তবে যদি কারো অ্যালার্জির সমস্যা গুরুতর হয়, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
এবি/টিকে