টি-টোয়েন্টির এক নম্বর ব্যাটার অভিষেক শর্মার মতো ৯৩১ রেটিং পয়েন্ট ফরম্যাটটির ইতিহাসে কেউ অর্জন করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯১৯ রেটিং পয়েন্ট ছিল ইংল্যান্ডের দাভিদ মালানের। অভিষেকের এই অর্জন এসেছে এশিয়া কাপের সাফল্য। শিরোপা জেতার আসরে ৩ ফিফটিতে ৩১৪ রান করেছেন তিনি।
আসলে অভিষেক শর্মা অভিষেকের পর থেকেই তুখোর ফর্মে। গত বছরের জুলাইয়ে অভিষেক হওয়া এই ব্যাটার ব্যাট করেন প্রায় দুশো স্ট্রাইকরেটে। ২৪ ম্যাচের ২৩ ইনিংসে ১৯৬.০৮ স্ট্রাইকরেটে ৮৪৯ রান করেছেন। ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আইপিএলেও দারুণ ফর্মে তিনি। শেষ দুটি আসরে চারশর বেশি করে রান তুলেছেন ১৯০ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে।
এমন একজনকে বল করার আগে যে কোনো বোলারের আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগা স্বাভাবিক। এশিয়া কাপে তার মুখোমুখি হওয়ার আগে বোলাররা এই সমস্যায় পড়েছেন বৈকি! ৩১৪ রান তিনি করেছেন ঠিক ২০০ স্ট্রাইকরেটে। পাকিস্তানি পেসার ইহসানউল্লাহ অভিষেকের মুখোমুখি হওয়ার ব্যাপারে যা বললেন, তাতে আত্মবিশ্বাসের অভাবের বিষয়টি উত্থাপনই করা যায় না।
ইহসানউল্লাহ আলোচনায় এসেছিলেন ২০২৩ পিএসএলে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করে। সে বছরই জাতীয় দলে অভিষেক হয়। ৪টি টি-২০ ও একটি ওয়ানডে খেলার পর কনুইয়ের চোটের কারণে দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন। গত বছরের ডিসেম্বরে ফিরলেও পাকিস্তানের এশিয়া কাপের দলে জায়গা পাননি। তার দলের বিপক্ষে অভিষেক শর্মা ৫৮ বল খেলে করেছেন ১১০ রান। ভারতীয় ওপেনারের বিপক্ষে খেলতে পারলে ৬ বলের মধ্যেই তাকে আউট করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন ইহসানউল্লাহ।
এক ভিডিওতে ইহসানউল্লাহ বলেন, ‘আমি যদি ভারতের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পাই, তবে ৬ বলের মধ্যেই অভিষেক আউট হয়ে যাবে। ৩ বলেও হতে পারে। আমার ১৪০ কিলোমিটার গতির বল ওর কাছে ১৬০ মনে হবে। বল পড়তেই পারবে না। বাঁহাতিদের আমি ইনসুইং ডেলিভারি দিই, সে তো এমন বলে ভুগেছে। এ কারণেই এটা (৬ বলে আউট করার কথা) বলছি।’
এসএস/টিকে