টেস্টের এক ইনিংস ৭০০ ও ৮০০ রান তো দেখেছেই, সাড়ে ৯০০ রানও একবার হয়েছে। ছয়শর বেশি রান হয়েছে ১৫০ বারের বেশি। কিন্তু বাই ও লেগ বাই ছাড়া কারোরই সাড়ে ৫০০ রান করার নজির নেই। বাই ও লেগ বাই ছাড়া ৫১৩ রান আছে বাংলাদেশের।
২০১৮ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ৫১৩ করেছিল মুমিনুল হকের দেড়শত (১৭৬) রানের বদৌলতে। সেদিন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অপরাজিত ৮৩ ও তামিম ইকবাল ৫২ রান করেছিলেন। শ্রীলঙ্কা বাই ও লেগ বাই-এ এক রানও দেয়নি। অতিরিক্ত বলতে ৪টি নো বল ও ৫টি ওয়াইড হয়েছিল। সেটাই ছিল এতদিন বাই ও লেগ বাই ছাড়া সর্বোচ্চ রান করার নজির।
বাংলাদেশের ওই রেকর্ড কেড়ে নিয়েছে ভারত। শনিবার (১১ অক্টোবর) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাই ও লেগ বাই ছাড়া ৫১৮ রান করেছে তারা। এই ইনিংসে অতিরিক্ত ২ রান এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের দেওয়া ২টি ওয়াইডের কারণে।
৫ উইকেটে ভারতের ৫১৮ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৪৮ রানে অলআউট হয়ে পড়েছে ফলোঅনে। প্রথম ইনিংসে ভারতের ২৭০ রানের লিডে সবচেয়ে বেশি অবদান যশস্বী জয়সওয়ালের। ৫১৮ রানের মধ্যে একাই করেছেন ১৭৫, শুভমান গিলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে আউট না হলে তুলে নিতে পারতেন তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরিও।
১৭৫ রানের ইনিংস দিয়ে জয়সওয়াল একটি রেকর্ডে ব্রাডম্যানের পরেই স্থান করে নিয়েছেন। বয়স ২৪ পূর্ণ হওয়ার আগেই সর্বোচ্চ ৮টি দেড়শোর্ধ্ব রানের ইনিংস ছিল ব্রাডম্যানের। জয়সওয়ালের হলো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫টি। জয়সওয়াল ভাগ বসিয়েছেন বব সিম্পসন ও লারার একটি রেকর্ডেও। জয়সওয়ালের আগে এই দুজন প্রথম ৭টি সেঞ্চুরির পাঁচটিকেই দেড়শতে রূপ দিয়েছিলেন।
ফলোঅনে পড়া ক্যারিবীয়রা দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধশত রান তুলতে না তুলতেই হারিয়ে ফেলেছে ২ উইকেট। ত্যাজনারায়ণ চন্দরপল ১০ ও আলিক আথানাজ ৭ রান করে আউট হয়েছেন। ২৭ রান নিয়ে জন ক্যাম্পবেল ও ৯ রান নিয়ে ক্রিজে রয়েছেন শাই হোপ। ইনিংস হার এড়াতে ৫৩ রান নিয়ে ব্যাট করতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের এখনও দরকার ২১৭ রান।
টিজে/এসএন