জিন নয়, জীবনযাপনেই বাড়ছে অকালপক্বতার ঝুঁকি

অকালপক্বতা! বয়স হলে চুলের রং ফিকে হবে। কিন্তু স্কুলের গণ্ডি না পেরোনো ছেলেমেয়ে অথবা অকালপক্ব বয়সে মাথায় পাকা চুল উঁকি দেওয়া তো স্বাভাবিক নয়। আর সে লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করলে অভিভাবকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ারই কথা। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এর কারণ ও প্রতিকার-

শতকরা ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রে চুলে পাক ধরার বিষয়টি যদি জিনগত হয়, বাকি ৫ শতাংশ হয় শারীরিক কারণে বা শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজের অভাবে।

কিন্তু, ইদানীং বিষয়টি এতই স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে, বাবা-মায়েরাও কঠিন সত্যটি হজম করতে শিখে গিয়েছেন। সন্তানের তো বটেই, তার বন্ধুবান্ধবের মাথায়ও পাকা চুল দেখা দিয়েছে। আবার, বছর তিরিশের যুবক-যুবতীদের মাথায়ও পাকা চুল দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, এই সমস্যা অনেকটাই জিনগত। তবে, শারীরিক নানা কারণেও কিন্তু চুলে পাক ধরতে পারে।

ঠিক কোন বয়স থেকে মাথার চুলে পাক ধরবে, তা আগে থেকে নির্ধারণ করা যায় না। জিনের বাহ্যিক অভিব্যক্তি (জেনেটিক ইনফরমেশন কনসেনট্রেশন) কেমন হবে, তাও নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে শতকরা ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রে চুলে পাক ধরার বিষয়টি যদি জিনগত হয়, বাকি ৫ শতাংশ হয় শারীরিক কারণে বা শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন, খনিজের অভাবে।

২০১৯ সালে হওয়া একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দেশের প্রায় ১০.৬ শতাংশ স্কুলপড়ুয়ার মাথাতেই পাকা চুল রয়েছে। ‘ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ অ্যাপ্লায়েড রিসার্চ’-এ প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাটি। চিকিৎসকেরা বলছেন, এখনকার শিশুরা জাঙ্ক ফুড খেতে অভ্যস্ত।

অনেক সময়েই তাদের রোজকার ডায়েটে পর্যাপ্ত পরিমাণে সবুজ শাকপাতা থাকে না। যার ফলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অভাব হয়। এর থেকেই অল্প বয়সে চুল পেকে যেতে পারে। আধুনিক জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ স্ট্রেস। এর ফলে শরীরে আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিডের অভাব হতে পারে। যার থেকে চুলে অকালপক্বতা দেখা যেতে পারে। এ ছাড়া লিভারের ধারাবাহিক সমস্যা থাকলেও কম বয়সে চুল পেকে যায়।

তাই সে ক্ষেত্রে লিভারের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাও জরুরি। পাক ধরা চুল কি আবার কালো করা যেতে পারে? কিছু ক্ষেত্রে সঠিক যত্ন এবং পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়া দিয়ে চুলে পাক ধরার গতি শ্লথ করে দেওয়া যায়।
তবে সকলের ক্ষেত্রে একই রকম ভাবে সেই টোটকা কাজ করবে তা নয়। সে ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক জিনিস- যেমন হেনা, ভেষজ রং দিয়ে পাকা চুল ঢেকে ফেলা যেতে পারে।

এবি/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
এখন গাজাকে পুনর্গঠন করার সময় : ট্রাম্প Oct 14, 2025
img
জামায়াত আমির-ডেনিশ রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ Oct 14, 2025
img
দেশে অস্থিরতার চক্র ভাঙার একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন : জাহেদ উর রহমান Oct 14, 2025
img
আসছে ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’ তারকা ফিন উলফহার্ড এর নতুন চলচ্চিত্র! Oct 14, 2025
img
ইসি নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা নেই জনগণের, ব্যাপক প্রচারণার উদ্যোগ Oct 14, 2025
img
অবরোধ প্রত্যাহার ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের, যানচলাচল স্বাভাবিক Oct 14, 2025
img
স্বর্ণ ৫ হাজার ও রুপা ৬৫ ডলারে পৌঁছাতে পারে ২০২৬ এর মধ্যেই! Oct 14, 2025
img
সাকিবের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পরও শিরোপা হাতছাড়া Oct 14, 2025
img
টেইলর সুইফটের নতুন অ্যালবাম রেকর্ড ভাঙল অ্যাডেলের Oct 14, 2025
img
লম্বা বিরতির পর ফের ছোট পর্দায় স্বস্তিকা Oct 14, 2025
img
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে রুমিন ফারহানার মন্তব্য Oct 14, 2025
img
ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপ, যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে বাড়ি নির্মাণের খরচ Oct 14, 2025
img

বিবিসিকে জর্ডানের বাদশাহ

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হবে Oct 14, 2025
img
দেশের সরকারগুলোর বড় দুর্বলতা দ্রুত জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যায় : মাসুদ কামাল Oct 14, 2025
img
আর নেই প্রবীণ অভিনেত্রী ইন্দিরা দেবী Oct 14, 2025
img
সায়েন্সল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধ Oct 14, 2025
img
শিক্ষকরা মর্যাদা না পেলে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন উন্নত জাতি গঠন সম্ভব নয় : নুরুল হক নুর Oct 14, 2025
img
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে গুঞ্জনে বিসিবির স্পষ্ট বার্তা Oct 14, 2025
img
জয়পুরহাট এনসিপির প্রধান সমন্বয়কের পদত্যাগ Oct 14, 2025
img
অভয়নগরে যৌথ বাহিনীর তল্লাশি, অস্ত্র উদ্ধার Oct 14, 2025