তিন দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের শিক্ষকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে সংগঠনের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী ঘোষণা দিয়েছেন, আজকের জন্য ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তবে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে তারা অনশন শুরু করবেন।
এর আগে একই দিন দুপুরে জানানো হয়েছিল, ‘মার্চ টু যমুনা’ অভিযাত্রা বিকাল ৫টা পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। বিকেলেই আনুষ্ঠানিকভাবে পুরো দিনের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
অধ্যক্ষ আজিজী বলেন, আমরা শুক্রবার অনশনে যাচ্ছি। এরপর আমরণ অনশন। তবুও যদি আমাদের দাবি না মানা হয়, তাহলে আমাদের দেহ জীবিত যাবে না লাশ যাবে। অধিকারের প্রশ্নে কোনো আপোষ নয়।
তিনি আরও জানান, রোববার থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানিয়েছেন, সরকারের প্রস্তাবিত বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির হার তাদের কাছে ‘অপর্যাপ্ত ও বাস্তবতা-বিবর্জিত’ মনে হয়েছে। তারা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে এই ভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সর্বজনীন বদলি নীতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।
গত রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ শিক্ষকদের সরাতে গেলে ধস্তাধস্তি এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ার ঘটনা ঘটে, যা ওই এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি করে।
পরে সংগঠনের নেতাদের আহ্বানে শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকেই লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা আসে।
রোববার ও সোমবার রাতভর শিক্ষকরা খোলা আকাশের নিচে শহীদ মিনারে রাত কাটান কেউ চট বিছিয়ে, কেউ ব্যানার বালিশ করে। তাদের বক্তব্য, সরকারের তরফ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি ও আন্দোলন চলবে।
এমকে/এসএন