সকাল হোক বা রাত অনেকেরই অভ্যাস বারবার কফিতে চুমুক দেওয়ার। কফিপ্রেমীদের মতে, কফি না হলে কাজেই মন বসে না, মেজাজও ঠিক থাকে না। যদিও মাঝে মাঝে কফি খাওয়া ক্ষতিকর নয়, কিন্তু দিনের পর দিন একের পর এক কাপ খেলে সেটা আর স্বাস্থ্যকর থাকে না। অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীর ও স্নায়ুর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
তাই কফির পরিবর্তে এমন কিছু বিকল্প পানীয় বেছে নিতে পারেন, যা স্নায়ু সতেজ রাখবে আবার স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করবে না। চলুন, জেনে নিই।
গ্রিন কফি
আমরা সাধারণত যে কালো কফি খাই, তা রোস্ট করা কফিবীজ থেকে তৈরি। কিন্তু গ্রিন কফি বানানো হয় কাঁচা বা অপরিপক্ব সবুজ কফিবীজ থেকে।
এতে ক্যাফেইনের পরিমাণ অনেক কম, তাই শরীরের ওপর ক্ষতিকর প্রভাবও তুলনামূলক কম। গ্রিন কফি প্রক্রিয়াজাত করার পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে এতে ক্যাফেইনের মাত্রা ঠিক হয়।
পুষ্টিবিদদের মতে, এতে সাধারণ কফির তুলনায় কিছু বাড়তি পুষ্টিগুণ রয়েছে।
মাচা
মাচা হলো এক ধরনের জাপানি গ্রিন টি, যা এখন সামাজিক মাধ্যমে দারুণ জনপ্রিয়।
সাধারণ চা কিংবা কফির তুলনায় এতে ক্যাফেইনের মাত্রা কম। পাশাপাশি, মাচা খেলে এ এসিডিটির আশঙ্কাও কমে। গবেষণায় জানা গেছে, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ‘ক্যাটেসিন’ নামের এক ধরনের ফ্ল্যাভনয়েড। যা শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। এটি শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে।
পুদিনা-চা
মাথা ধরলে বা ক্লান্ত লাগলে আমরা অনেক সময় কফি খুঁজি। কিন্তু তার চেয়ে ভালো বিকল্প হতে পারে পুদিনা-চা। এতে সাধারণ চা পাতার ব্যবহার হয় না, ফলে ক্যাফেইনও থাকে না। এর মানে, অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণের ক্ষতি হওয়ার ভয় নেই। পুদিনা-চা হজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে এবং এতে থাকে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। গরম পানিতে টাটকা পুদিনাপাতা ফুটিয়ে, তা ছেঁকে মধু মিশিয়ে পান করলে শরীরও সতেজ লাগে।
এমকে/এসএন