জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা

জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় পুলিশের সঙ্গে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সংঘর্ষ থামলেও উত্তেজনা এখনো পুরোপুরি কাটেনি। কয়েক দফা সংঘর্ষের পর দুপুর আড়াইটার দিকে আন্দোলনকারীরা সংসদ ভবন এলাকা ছেড়ে ধানমন্ডি ২৭, আসাদ গেট ও ফার্মগেট-খামারবাড়ি এলাকার দিকে চলে যান।

এদিকে, সংঘর্ষের পরপরই ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয় সেনাবাহিনীসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এরপর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেই শুরু হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে মিরপুর রোড থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের প্রবেশমুখে সেনাবাহিনীর অবস্থান দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, সেনাসদস্যরা সড়কের প্রবেশমুখে ব্যারিকেড দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। সংসদ ভবনের দিকে প্রবেশ বন্ধ রেখেছে পুলিশ। এছাড়াও সেখানে র‍্যাব, বিজিবি, সোয়াট ও এপিবিএনের সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান বলেন, পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। সংসদ ভবনের সামনের অংশ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আশপাশে আন্দোলনকারীরা অবস্থান করছেন। সিনিয়র কর্মকর্তারা সবাই মাঠে আছেন, তাই এখনই বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। অভিযান অব্যাহত আছে।

গ্রেপ্তারের কোনো নির্দেশনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনো সে বিষয়ে কিছু জানি না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিস্তারিত জানানো হবে।’

এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেটে অবস্থান করা জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। আগে থেকেই আন্দোলনকারীদের একাংশ সংসদ ভবনের সামনে অবস্থান করছিল। সংসদ ভবনের ভেতরে থাকা অংশটি অনুষ্ঠানস্থলে যোগ দেয়।

একপর্যায়ে বাইরে থাকা যোদ্ধারা সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। পরে ভেতরে থাকা অংশটি বাইরে চলে আসে। এসময় আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোতল ও চেয়ার নিক্ষেপ করে। এরপরই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।

কয়েক দফা সংঘর্ষে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। অন্যদিকে, আন্দোলনকারীরা সড়কে আগুন ধরিয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে বিক্ষোভ চালিয়ে যায়। এসময় পুলিশের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।

সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এমআর/টিকে 


Share this news on:

সর্বশেষ

img
মনকে আর বুঝাতে পারিনি, তাই চলে আসলাম, খালেদাকে দেখতে এসে জামায়াত আমির Dec 03, 2025
img
বেগম জিয়ার এমন সংকটময় পরিস্থিতি আগে কখনো হয়নি: জামায়াত আমির Dec 02, 2025
img
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি একটি মহৎ অঙ্গীকার : পার্বত্য উপদেষ্টা Dec 02, 2025
img
মুগদা থানার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সামাদ উদ্দিন বিজয় গ্রেপ্তার Dec 02, 2025
img
ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় প্রাণহানিতে প্রধান উপদেষ্টার শোক প্রকাশ Dec 02, 2025
শ্রীলঙ্কায় মানবিক সহায়তা পাঠাতে বাধা দিচ্ছে ভারত, অভিযোগ পাকিস্তানের Dec 02, 2025
img
পঞ্চদশ সংশোধনী মামলায় পক্ষভুক্ত হলো বিএনপি, শুনানি আগামীকাল Dec 02, 2025
img
অবশেষে একই ফ্রেমে প্রিয়াঙ্কা-আলিয়া-ক্যাটরিনা Dec 02, 2025
'আল্লাহ খালেদা জিয়াকে নেক হায়াত দাও' Dec 02, 2025
সিরিয়ার দক্ষিণে ইসরায়েলি হামলার পর ট্রাম্পের সতর্কবার্তা Dec 02, 2025
রাজশাহী নগরবাসীর নিরাপত্তায় আরএমপির বিশেষ উদ্যোগ Dec 02, 2025
img
আমাদের নেত্রীর জন্য অন্তর থেকে সবাই দোয়া করবেন: টুকু Dec 02, 2025
শতভাগ ফিট না থাকলে দলে যায়গা পাবেন না নেইমার, ভিনি: আনচেলত্তি Dec 02, 2025
img
‘কল্কি’ সিকুয়েল থেকে বাদ দীপিকা, আলোচনায় নতুন নায়িকার নাম! Dec 02, 2025
img
‘বিগ বস্‌’-এর ঘরে তানিয়ার উপর কি নিয়ে রাগলেন আশনূর? Dec 02, 2025
img
নিজ এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগে সালাহউদ্দিন Dec 02, 2025
img
কোয়েলের কণ্ঠে এবার শিল্পার সুরের জাদু Dec 02, 2025
img
ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে ডিভাইস-ডেটা ও সেবাখাতে একযোগে সংস্কার: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব Dec 02, 2025
img
অনলাইন বেটিং কেলেঙ্কারিতে ইডির জিজ্ঞাসাবাদে নেহা শর্মা Dec 02, 2025
img
‘নূর’-এর গানে ঐশীকে মনের কথা জানালেন আরিফিন শুভ Dec 02, 2025