৪০ শতাংশ ভোটে সরকার হলে বাকি ৬০ শতাংশের মূল্য কোথায়: চরমোনাই পীর

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করীম বলেছেন, ৩৫-৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে কেউ সরকার গঠন করে, তারপর সংবিধানকে নিজেদের খেলার মাঠ বানায়। এটা চলতে পারে না। ৪০ শতাংশ ভোটের সরকার হলে বাকি ৬০ শতাংশ ভোটের মূল্য কোথায়?

সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদ চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রশ্ন করেন।

চরমোনাই পীর বলেন, চব্বিশের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর আমরা আশা করেছিলাম দেশ সঠিক পথে এগোবে। কিন্তু আজকের বাস্তবতায় সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হচ্ছে না। আমরা পাঁচ দফা দাবির মাধ্যমে আন্দোলন শুরু করেছি। ৩১টি দল ঐকমত্য কমিশনে অংশগ্রহণ করেছে, তার মধ্যে ২৫টি দল পিআরের পক্ষে মত দিয়েছেন এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দাবি করেছেন। রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে ঐকমত্য হওয়া ৮৪টি বিষয়ে তালবাহানা না করে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে।

মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, আগামীতে পরীক্ষিত দুর্নীতিবাজ, খুনি ও জুলুমবাজদের ক্ষমতায় নেয়া যাবে না। আওয়ামী লীগ নিজেদেরকে দেশের মালিক আর জনগণকে তাদের দাস মনে করেছে। তাদের অপশাসনের বিরুদ্ধে কথা বললেই খুন, গুম করেছে। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে আছে জানিয়ে জনগণকে মিথ্যে গল্প শুনিয়েছে। অথচ দেশের কোনো ব্যাংকে টাকা নেই। সব টাকা তারা বিদেশে পাচার করে নিয়েছে। বৈদেশিক ঋণের চাপে দেশের অগ্রযাত্রা থমকে যাচ্ছে!

তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছরে যারা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর করে দিয়ে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দেশকে দেউলিয়া করে ফেলেছে এবং সর্বত্র জুলুম নির্যাতনের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল সেই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে। তিনি বলেন ৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও বিগত সরকারের আমলে আমরা স্বাধীন দেশে ছিলাম পরাধীন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলা উত্তর এর সভাপতি মাও. নজীর আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ উদ্বোধন করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ এর সভাপতি মাও. ইউসুফ ভুঁইয়া।

এসএস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জামায়াতে ইসলামী সুখী-সমৃদ্ধ মানবিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় : নূরুল ইসলাম বুলবুল Oct 21, 2025
img
শ্বশুরের কোদালের আঘাতে প্রাণ হারাল জামাই Oct 21, 2025
img
জনকল্যাণ ও দেশের উন্নয়নই বিএনপির মূল লক্ষ্য : কফিল উদ্দিন Oct 21, 2025
img
কুমিল্লায় ইউপি সদস্যের বাড়ির ছাদে শুকানো হচ্ছিল গাঁজা Oct 21, 2025
img
‘আমন্ত্রণ পেলে’ ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে যোগ দিতে রাজি জেলেনস্কি Oct 21, 2025
img
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক মোহন আর নেই Oct 21, 2025
img
পাকিস্তানের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক শাহীন আফ্রিদি Oct 21, 2025
img
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকা কলেজে মশাল মিছিল Oct 21, 2025
img
ফেনীতে মহিলা জামায়াতের উঠান বৈঠকে হামলা, আহত ২০ Oct 21, 2025
img
ফল ব্যবসায়ী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নেন নী/ল ছবির সেই তারকা যুগল Oct 21, 2025
img
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জেতা ম্যাচে হার, সেমির স্বপ্ন শেষ বাংলাদেশের Oct 20, 2025
img
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় Oct 20, 2025
img
শাপলা প্রতীক নিয়ে আবারও পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি Oct 20, 2025
img
রাজনীতিতে আবারও ‘মাইনাস’ -কঠিন সময় এনসিপির : জিল্লুর রহমান Oct 20, 2025
img
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনে সংহতি জানাবে এনসিপি Oct 20, 2025
img
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ হামিদুল হক মোহন আর নেই Oct 20, 2025
img
মাদাগাস্কারে সেনা অভ্যুত্থানের পর নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ Oct 20, 2025
img
ওয়ানডে সিরিজের মাঝেই ঢাকা থেকে ইংল্যান্ডে যাচ্ছেন শামার জোসেফ Oct 20, 2025
img
এবার চিরতরে চলে গেলেন বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা Oct 20, 2025
img
এ কে আজাদ যে আওয়ামী লীগ নেতা সেটা সর্বজনস্বীকৃত : নায়াব ইউসুফ Oct 20, 2025