দেশে চালের দাম বাড়লেও কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় আমদানির অনুমতি সীমিত রাখার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। কমিশনের মতে, স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় চালের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে দীর্ঘমেয়াদে শুল্ক ছাড়ে চাল আমদানি চালু থাকলে স্থানীয় উৎপাদন নিরুৎসাহিত হয়ে কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়বেন।
সোমবার (২০ অক্টোবর) চালের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে ট্যারিফ কমিশনের এক প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে চালের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৩ কোটি ৭ লাখ থেকে ৩ কোটি ৯ লাখ টন, আর উৎপাদন হয় প্রায় ৪ কোটি ৪৩ লাখ টন।
অর্থাৎ উৎপাদন উদ্বৃত্ত থাকা সত্ত্বেও দাম বাড়লে সীমিত পরিসরে আমদানি হয়, যা মূলত ভারত থেকে আসে।
বিটিটিসির তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে ধানের দাম বেড়েছে ১১ শতাংশ, সরু চালের দাম ১১ শতাংশ, মাঝারি চালের দাম ১৩ শতাংশ এবং মোটা চালের দাম সাড়ে ৭ শতাংশ। অথচ গত অর্থবছরে চালের উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ২৩ লাখ টন বেশি ছিল। অপরদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম কমেছে ৩৬–৩৭ শতাংশ।
অর্থাৎ উৎপাদন বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক দামের পতন সত্ত্বেও দেশে চালের দাম বেড়েছে।
সোমবার ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হয়েছে ৭০–৭৬ টাকায়, নাজির ৭২–৮০ টাকায়, ব্রি–২৮ চাল ৫৬–৫৮ টাকায় এবং মোটা (স্বর্ণা) চাল ৫২–৫৪ টাকায়। গত এক মাসে ব্রি–২৮ ও মোটা চালের দাম কেজিপ্রতি প্রায় ২ টাকা কমেছে।
বর্তমানে চাল আমদানিতে মোট ৬৩ দশমিক ২৫ শতাংশ শুল্ক–কর রয়েছে।
তবে গত বছরের অক্টোবরে দেশে দাম বাড়ার পর দুই ধাপে শুল্ক–কর কমানো হয়। এখন বেশির ভাগ চাল আমদানিতে মাত্র ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর দিতে হয়, যদিও শুল্ক ছাড়ের সুবিধা নিতে হলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে।
পিএ/টিএ