জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, নির্বাচনটা আমরা চাই কারণ নির্বাচন ছাড়া সংস্কারটা ধরে রাখা যাবে না। এ দুটো একসাথে জড়িয়ে আছে। কিন্তু বাস্তবতাটা হচ্ছে এই মুহূর্তে মাঠে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নাই। প্রশাসন বা পুলিশ প্রশাসন সবসময় কি নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে? তারা হয়তো চায় জনগণের পক্ষে থাকতে।
কিন্তু অনেক সময় রাজনৈতিক চাপের কারণে তারা পারছে না। নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি এক টেলিভিশন টকশোতে তুষার এসব কথা বলেন। সারোয়ার তুষার বলেন, বাংলাদেশের পুলিশ যেকোনো সময় যদি চায় তাহলে তারা পরিস্থিতির কন্ট্রোল নিতে পারে। কিন্তু তারা চায় কিনা বা তাদের ওপর সে ধরনের নির্দেশ আছে কিনা এটা হচ্ছে প্রধান বিষয়।
বাংলাদেশের পুলিশের সক্ষমতা নিয়ে আমার কখনোই কোনো ডাউট ছিল না, এখনো নাই। কিন্তু পুলিশ সবসময় তাকিয়ে থাকে ক্ষমতায় যারা আছেন তাদের ইনটেনশন কি? তুষার বলেন, সরকার প্রচুর ফাঁকা কথা বলে। এই ফাঁকা কথা বলে তারা বলতে চায় যে, আগামীতে উৎসব মুখর নির্বাচন করবো, ঐতিহাসিক নির্বাচন করবো, এই করবো, সেই করবো। এই নির্বাচন কেন্দ্রীক দুইটা জিনিস দেখতে পাবেন— একটা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টা কিছুদিন পর পর এসে স্মরণ কালের সেরা নির্বাচন করবো, শ্রেষ্ঠ নির্বাচন করবো এগুলো বলেন।
আরেকটা হচ্ছে ইসি আগারগাঁয়ে বসে বিভিন্ন জনের সাথে মত বিনিময় করেন। তুষার আরো বলেন, ইলেকশনের জন্য অনেকগুলো কাজ করতে হয়। টপ টেরর সন্ত্রাসীরা সব এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রত্যেকটা এলাকায় মাদকের সয়লাভ। মাদকের অর্থ দিয়েই অবৈধ অস্ত্র ইত্যাদি কেনা হয়।
এগুলো একটা একটার সাথে জড়িয়ে থাকে। এই লোকগুলোই ইলেকশনে ভোট রিগিং করবে। এরা বাইরে কেন? এদেরকে ধরা হচ্ছে না কেন? অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে না কেন?
এবি/টিকে