দক্ষিণ কোরিয়ায় এক নারী তেলাপোকা পোড়াতে গিয়ে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে ভয়াবহ আগুন লাগিয়ে ফেলেন। আগুন অ্যাপার্টমেন্টে ছড়িয়ে পড়ার পর ওই নারীর একজন প্রতিবেশী জানালা দিয়ে বের হতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে নিচে পড়ে মারা যান।
স্থানীয় পুলিশ ঘটনাটিকে অবহেলাজনিত মৃত্যু ও অগ্নিকাণ্ডের মামলা হিসেবে তদন্ত করছে।
পুলিশ জানায়, ঘটনাটি ঘটেছে দেশের উত্তরাঞ্চলীয় শহর ওসানে। ২০ বছর বয়সী এক নারী তার ফ্ল্যাটে তেলাপোকা মারতে লাইটার ও দাহ্য স্প্রে ব্যবহার করে তৈরি একটি অস্থায়ী ফ্লেমথ্রোয়ার দিয়ে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তেলাপোকার বদলে আগুন লেগে যায় তার ঘরের জিনিসপত্রে।
আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে। ভবনের পঞ্চম তলায় বসবাস করতেন এক চীনা নারী, তার স্বামী এবং দুই মাস বয়সী শিশু। আগুন লাগার পর তারা জানালা খুলে সাহায্যের জন্য ডাক দেন। প্রতিবেশীরা শিশুটিকে জানালা দিয়ে নিরাপদে নামিয়ে নিতে পারলেও, নারীটি নিজে পাশের ভবনে ওঠার চেষ্টা করতে গিয়ে নিচে পড়ে যান। হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
তবে, তার স্বামী জানালা বেয়ে অন্য ব্লকে চলে যেতে সক্ষম হন। পুলিশ মনে করছে, সিঁড়ি ঘন ধোঁয়ায় ভরে যাওয়ায় প্রাণ বাঁচাতে তারা জানালা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন।
ওই ভবনের নিচতলায় ছিল বাণিজ্যিক দোকান, আর দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ছিল ৩২টি আবাসিক ফ্ল্যাট। অগ্নিকাণ্ডে আরও আটজন বাসিন্দা ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারী আগেও একইভাবে তেলাপোকা পোড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন, তবে এবার তা ভয়াবহ বিপর্যয়ে রূপ নেয়। তার বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত অগ্নিসংযোগ ও মৃত্যুর কারণ ঘটানোয় অভিযোগ আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।
সূত্র: বিবিসি নিউজ।
টিকে/