১ লাখ টন চাল আমদানি করছে সরকার

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এক লাখ মেট্রিক টন নন-বাসমতি ও আতপ চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে, যার মূল্য প্রায় ৪৪৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। একইসঙ্গে অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ খাতের আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির ৪২তম সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছর (২০২৫-২৬)-এর জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল (পারবয়েল্ড রাইস) ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

চালগুলো খাদ্য অধিদপ্তর আমদানি করবে, যার মোট ব্যয় হবে ২১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা।  প্রতি মেট্রিক টনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫৫.৯৯ মার্কিন ডলার। আরেকটি প্রস্তাবে, কমিটি মিয়ানমার থেকে সরকার-টু-সরকার (জি-টু-জি) চুক্তির আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে।

এ ক্রয়ের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২২৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা, প্রতি মেট্রিক টনের দাম ৩৭৬.৫০ মার্কিন ডলার। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হবে মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুনভিত্তিক মিয়ানমার রাইস ফেডারেশন (এমআরএফ)। এছাড়া, কমিটি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে।

প্রস্তাবটি চট্টগ্রামের মীরসরাই-২এ ও ২বি অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রবেশ সড়ক নির্মাণ সংক্রান্ত, যার ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। ঢাকাভিত্তিক মনিকো লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটি এই কাজের ঠিকাদার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।

প্রকল্পের প্যাকেজের নাম ডব্লিউডিথ্রি-বিএসএমএসএন, বিইজেডএ-যা চলমান জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ। সভায় বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক খুলনা বিভাগের পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রকল্পের (বিশেষ সংশোধিত) অধীনে পাঁচটি নতুন ৩৩/১১ কেভি (১ী১০/১৪ এমভিএ) জিআইএস ধরনের সাবস্টেশন ক্রয় প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনার প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়। সভায় সংশোধিত পদ্ধতিতে এই ক্রয় প্রক্রিয়া পুনরায় সম্পাদনের জন্য প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

এসএস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে পুনরায় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সভা Oct 22, 2025
img
রাষ্ট্রপতি নয়, প্রধান উপদেষ্টা থেকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ চায় জামায়াত Oct 22, 2025
img
বাস-ট্রাক টার্মিনালের ইজারা মূল্য পুনর্নির্ধারণের নির্দেশ ডিএসসিসির Oct 22, 2025
img
জাতীয় দলের কোচ হতে পারেন আশরাফুল! Oct 22, 2025
img
মতভেদ কাটাতে ড. ইউনূসের এবার নতুন উদ্যোগ : জিল্লুর রহমান Oct 22, 2025
img
বেসরকারি কর্মীদের বেতন কাঠামো নিয়ে প্রস্তাবনা যাচ্ছে জাতীয় কমিশনে Oct 22, 2025
img
তোপের মুখে ক্ষমা চাইলেন চাকসুর সেই নেতা Oct 22, 2025
img
ট্রাম্পের উপস্থিত অবস্থায় হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা গেটে গাড়ির ধাক্কা Oct 22, 2025
img
আ. লীগ নেতা অ্যাডভোকেট তুহিন গ্রেপ্তার Oct 22, 2025
img
স্কুইড গেম অভিনেতার নাম ভাঙিয়ে অনলাইনে প্রতারণা Oct 22, 2025
img
শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে সম্মত বাংলাদেশ! Oct 22, 2025
img
চাকরি হারালেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফ মাহদী Oct 22, 2025
img
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনোভাবেই নিরপেক্ষতার পরিচয় দিতে পারেনি: রাশেদ খাঁন Oct 22, 2025
img

এনসিপি-জামায়াতকে প্রধান উপদেষ্টা

নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করব Oct 22, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা যাঁরা বলছেন, তাঁদের দুরভিসন্ধি রয়েছে: নাহিদ ইসলাম Oct 22, 2025
img
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের মূল্যহ্রাস, দেশের বাজারেও কমলো দাম Oct 22, 2025
img
ইসলামী আন্দোলন ক্ষমতায় নয়, জনগণের সেবায় বিশ্বাসী: ফয়জুল করীম Oct 22, 2025
img
দেশে রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলার Oct 22, 2025
img
আফগানিস্তানকে ইনিংস ব্যবধানে হারাল জিম্বাবুয়ে Oct 22, 2025
img
কানাডায় ফের ভারতীয় গ্যাংয়ের তাণ্ডব, এবার তাদের নিশানায় পাঞ্জাবি গায়ক Oct 22, 2025