বিজিবির অভিযানে ৯ মাসে সাড়ে ১৯ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ

চট্টগ্রাম রিজিয়নের ৫৪০ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, চোরাচালান দমন ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছে। এই রিজিয়নের অধীনে থাকা ১৩টি ব্যাটালিয়ন পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম সীমান্ত এলাকায় দিনরাত অভিযান, নজরদারি ও টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিচালিত বিভিন্ন অভিযানে চট্টগ্রাম রিজিয়ন বিজিবি ২৭ জন চোরাকারবারিকে আটক করেছে এবং মোট ১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকার অবৈধ চোরাচালান মালামাল জব্দ করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) খাগড়াছড়ির যামিনী পাড়া ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খালেদ ইবনে হোসেন।

তিনি বলেন, চলমান অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ পণ্য ও অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৫ রাউন্ড গুলি, ১ হাজার বোতল বিদেশি মদ, ৩৩০ কেজি গাঁজা, ৮৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৪৪৫টি গরু, মহিষ ও ছাগল। এছাড়া বিপুল পরিমাণ মোবাইল ফোন, বিদেশি সিগারেট, কাপড় ও আতশবাজিও জব্দ করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল ও নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চলে অস্ত্র ও মাদক পাচার রোধে বিজিবি সদস্যরা সর্বদা তৎপর রয়েছেন।

জোন কমান্ডার আরও বলেন, চোরাচালান ও সীমান্ত অপরাধের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের যেকোনো চেষ্টা প্রতিহত করতে বিজিবি সর্বদা প্রস্তুত। সীমান্ত সুরক্ষা শুধু নিরাপত্তার বিষয় নয়, এটি জাতীয় স্বার্থের অংশ। তাই স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সম্প্রীতি রক্ষায়ও বিজিবি কাজ করছে।

বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম রিজিয়নের অধীনে সীমান্ত এলাকায় মাদক, অস্ত্র ও গবাদিপশু পাচার রোধে গত কয়েক মাসে একাধিক সফল অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এসব অভিযানে আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায়ও কাজ করছি। বিজিবির এসব অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে ২৩ বিজিবির সহকারী পরিচালক আবুল লেইচসহ বিভিন্ন স্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

টিজে/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো অভিবাসী ফের নৌকায় চড়ে যুক্তরাজ্যে Oct 23, 2025
img
জাতীয় স্টেডিয়ামে একই দিনে আরচ্যারি ও হামজাদের ম্যাচ Oct 23, 2025
img
রশিদ খানকে টপকে রিশাদের বিশ্বরেকর্ড Oct 23, 2025
img
শপথ নিলেন রোহিঙ্গাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা Oct 23, 2025
তামিম-মাশরাফি ভাই আমাকে সাপোর্ট করেছেন, আমার সামনে ভালো সময় আসবে: মিরাজ Oct 23, 2025
প্রেম নিয়ে প্রথমবারের মতো খোলাখুলি সাদিয়া আয়মান Oct 23, 2025
চরফ্যাশনে ৩ শতাধিক দুস্থ ও অসহায় মানুষ পেল বিএনপির উপহার Oct 23, 2025
নির্বাচনে যেকোনো অপশক্তি মোকাবিলায় পুলিশ সক্ষম: ডিএমপি কমিশনার Oct 23, 2025
ঢাবি এলাকায় অভিযান শুরুর আগেই দোকান নিয়ে চম্পট অবৈধ দোকানদাররা Oct 23, 2025
নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জামায়াত আমির Oct 23, 2025
দায়িত্ব শেষ করে যত তাড়াতাড়ি যেতে পারি বাঁচব: আসিফ নজরুল Oct 23, 2025
শপথ গ্রহণ শেষে যা বললেন চাকসুর ভিপি-জিএস-এজিএস! Oct 23, 2025
img
ভিসা জটিলতায় হকি দলের ইউরোপ সফর বাতিল Oct 23, 2025
img
ভোট গণনার সময় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত থাকতে পারবেন : ড. আসিফ নজরুল Oct 23, 2025
img
জামায়াতের ৩৬ বছর আগের তত্ত্বাবধায়ক ফর্মুলা এখনও গ্রহণযোগ্য: শিশির মনির Oct 23, 2025
img
সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে নতুন আইনি পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত পরিবারের Oct 23, 2025
img
জাতীয় পার্টি ছাড়া নির্বাচন হলে সরকার টিকবে না: শামীম হায়দার পাটোয়ারী Oct 23, 2025
img
কাকার মৃত্যুতে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি বিশ্বাস হারালেন মৌসুমী হামিদ Oct 23, 2025
img
সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের সম্পত্তির বিবরণ থাকবে ইসির ওয়েবসাইটে Oct 23, 2025
img
রাশিয়ার জব্দ অর্থ ইউক্রেনকে দিতে যাচ্ছে ইইউ, ভয়াবহ পরিণতির হুঁশিয়ারি মস্কোর Oct 23, 2025