২০১৫ এর পে-স্কেলে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতনের অনুপাত ১:১০, যা স্পষ্টতই বৈষম্যমূলক বলছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ২০২৫ এর পে-স্কেলে ন্যূনতম ১:৪ (৩৫০০০:১৪০০০০)-এ নির্ধারণ ও গৃহনির্মাণের জন্য বিনা সুদে ৫০ লাখ টাকা ঋণ প্রদানসহ একগুচ্ছ প্রস্তাবনা দিয়েছে এই সমিতি। এছাড়া চাকরিতে বিদ্যমান ২০টি গ্রেডের পরিবর্তে ১২টি গ্রেডে নির্ধারণ করতে প্রস্তাবনা।
প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে- শ্রান্তি বিনোদন ছুটি ও ভাতা ৩ বছরের পরিবর্তে প্রতি ২ বছর অন্তর অন্তর প্রদান; শিক্ষা সহায়ক ভাতা বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সন্তানপ্রতি বিদ্যমান ৫০০ টাকার পরিবর্তে ন্যূনতম ৩০০০ টাকা নির্ধারণ; সরকারি কর্মচারীদের সন্তানদের স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় প্রতিবছর শিক্ষা বর্ষের শুরুতে এককালীন ন্যূনতম ১০০০০ টাকা সহায়তা ভাতা প্রদান; চিকিৎসা ভাতা বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিদ্যমান ১৫০০ টাকার পরিবর্তে ন্যূনতম ৫০০০ টাকা নির্ধারণ; ৬৫ বছর ঊর্ধ্ব পেনশনভোগীর ক্ষেত্রে মাসিক চিকিৎসা ভাতা ২৫০০ টাকার পরিবর্তে ন্যূনতম ১০০০০ টাকা নির্ধারণ; ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা বিমা সুবিধা প্রদান।
তাদের প্রস্তাবনার মধ্যে আরও রয়েছে- টিফিন ভাতা ২০০ টাকার পরিবর্তে লাঞ্চ ভাতা ন্যূনতম ৮০০০ টাকা নির্ধারণ এবং বিদ্যমান যাতায়াত ভাতা ৩০০ টাকার পরিবর্তে ন্যূনতম ৩০০০ টাকা নির্ধারণ; সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য রেশন ও সচিবালয় ভাতা প্রদান; সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ন্যূনতম ৩০% ঝুঁকি ভাতা প্রদান; বিদ্যমান মটর সাইকেল ঋণ ৩৫০০০ টাকার পরিবর্তে বিনা সুদে ৫ লক্ষ টাকার ঋণ প্রদান এবং প্রতিবছর ১০% হারে অবচয় নির্ধারণ প্রভৃতি।
এমকে/এসএন