যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কয়েকদিন পর পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে ট্রানজিট বাণিজ্য কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে বলে ইসলামাবাদের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের ট্রানজিট বাণিজ্য অধিদফতর।
বিবৃতিতে অধিদফতর জানিয়েছে, কার্গো ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়া তিনটি ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রথম ধাপে বাব-ই-দোস্তি বন্ধের পরে ফেরত পাঠানো নয়টি যানবাহন ক্লিয়ার করা হবে।
দ্বিতীয় ধাপে এনএলসি টার্মিনাল থেকে ফিরে আসা ৭৪টি যানবাহন পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। তৃতীয় ধাপে ইয়ার্ডে পার্ক করা ২১৭টি যানবাহন আফগানিস্তানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হবে।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, চামান সীমান্ত রুট দিয়ে ট্রানজিট কার্যক্রম ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধারের জন্য আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দীর্ঘস্থায়ী স্থগিতাদেশের কারণে শত শত পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
২০ অক্টোবর প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আবার খুলে দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১১ থেকে ১২ অক্টোবর রাতে আফগান তালেবান ও তার সহযোগীরা পাকিস্তানের সীমান্ত চৌকিতে বিনা উসকানিতে হামলা চালানোর পর দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ শুরু হয়।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফদর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, সংঘর্ষের ফলে ২০০ জনেরও বেশি তালেবান এবং সংশ্লিষ্ট ‘জঙ্গি’ নিহত এবং মাতৃভূমি রক্ষায় ২৩ জন পাকিস্তানি সেনা শহীদ হন।
পাকিস্তান কান্দাহার প্রদেশ এবং কাবুলে সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে আফগানিস্তানের গভীরে নির্ভুল হামলা চালায়। এরপর আফগানিস্তানের অনুরোধে ১৫ অক্টোবর ৪৮ ঘন্টার একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
১৭ অক্টোবর অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি আরও ৪৮ ঘণ্টা বাড়ানো হয়, যখন দুই দেশের প্রতিনিধিদল আরও আলোচনার জন্য কাতারের দোহায় যায়। রোববার কাতারের মধ্যস্থতায় আলোচনার পর পাকিস্তান ও আফগানিস্তান তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
এসএন