জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছে থাইল্যান্ডের অন্তর্বর্তী সরকার। সেই অনুযায়ী আগামী ২০২৬ সালের ২৯ মার্চ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে থাইল্যান্ডে।
প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুলের দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পারাদোর্ন প্রিাসানানান্তাকুলের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে এএফপি। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিগগিরই পার্লামেন্টে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেবেন তিনি।
এর আগে এক ভাষণে আনুতিন বলেছিলেন, ২০২৬ সালের মার্চ অথবা এপ্রিলের শুরুর দিকে নির্বাচন হবে এবং এ লক্ষ্যে জানুয়ারির শেষ দিকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি।
থাইল্যান্ডের নির্বাচন কমিশন থেকে অবশ্য এখনও এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক বা দাপ্তরিক কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি তবে কমিশনের চেয়ারম্যান ইত্তিপোর্ন বুনপ্রাকং এএফপিকে বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পাশাপাশি একই দিন দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে দেশজুড়ে গণভোট হবে। এ দুটি ইস্যু হলো থাইল্যান্ডের জন্য একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন উচিত কি না এবং দ্বিতীয়টি হলো প্রতিবেশী কম্বোডিয়ার সঙ্গে থাইল্যান্ডের দু’টি সীমান্ত চুক্তি বাতিল করা উচিত কি না।
নির্বাচন ও গণভোটের আয়োজন ও পরিচালনার জন্য ৯ শ’কোটি বাথের (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ হাজার ৩৫৭ কোটি ৫১ লাখ ৩ হাজার টাকা) একটি বাজেট ইলেকশন কমিশন প্রস্তুত করেছে বলেও এএফপিকে জানিয়েছেন ইত্তিপোর্ন বুনপ্রাকং।
গত জুন মাসে বৈরী প্রতিবেশী কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেন-এর সঙ্গে থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রার একটি ফোনকল রেকর্ড ফাঁস হওয়ার ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন পায়তংতার্ন এবং তার নেতৃত্বাধীন সরকার। পায়তংতার্ন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে।
এ ঘটনায় নৈতিকতা লঙ্ঘণের অভিযোগে গত ২৯ আগস্ট থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালতের রায়ে ক্ষমতা হারান সাবেক প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা, যিনি দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মাত্র এক বছরের মাথায় পদচ্যুত হন পায়েতংতার্ন।
পায়তংতার্ন ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ৫ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্টের এমপিদের ভোটের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হন সরকারি জোটের অন্যতম শরিক দল ভূমিজাই থাই পার্টির চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান আনুতিন চার্নভিরাকুল। থাইল্যান্ডের প্রধান বিরোধী দল পিপলস পার্টি এই ভোটে আনুতিনকে সমর্থন দিয়েছিল।
এমআর/টিকে