যুক্তরাষ্ট্র কলম্বিয়ার বামপন্থী প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ওয়াশিংটন অভিযোগ করেছে, পেত্রো মাদক চোরাচালান দমন করতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং অপরাধী চক্রগুলোকে অবাধে সক্রিয় থাকতে দিয়েছেন।
মার্কিন ট্রেজারি সচিব স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, “প্রেসিডেন্ট পেত্রো মাদক কার্টেলগুলোকে বেড়ে উঠতে দিয়েছেন এবং এই কার্যক্রম থামাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।”
নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন পেত্রোর স্ত্রী, বড় ছেলে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরমান্ডো বেনেদেত্তিও। তাদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ ও সম্পত্তিতে প্রবেশাধিকার বন্ধ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ড্রাগবিরোধী যুদ্ধ’-এ একসময় ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল কলম্বিয়া। কিন্তু ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে পেত্রো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমেই তিক্ত হয়ে উঠেছে।
বেসেন্ট বলেন, পেত্রোর ক্ষমতায় আসার পর কলম্বিয়ায় কোকেন উৎপাদন “গত কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে,” যা যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।
অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট পেত্রো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি “দশকের পর দশক ধরে” মাদকবিরোধী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মাদক ব্যবহারের হার কমাতেও ভূমিকা রেখেছেন।
তিনি লেখেন, “এ এক অদ্ভুত বৈপরীত্য—তবু আমরা মাথা নত করব না।”
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চলে সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌযানে বিমান হামলা চালাচ্ছে। পেত্রো এসব হামলাকে “স্বৈরাচারী পদক্ষেপ” বলে আখ্যা দিয়ে অভিযোগ করেন, এতে এক কলম্বিয়ান নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন হয়েছে।
আইকে/টিএ