জুলাই সনদের আলোকে ‘নতুন বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার: আদিলুর

গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ ও ‘জুলাই ঘোষণা’র আলোকে রাষ্ট্র সংস্কার ও এ দেশকে একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হল অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি বলেন, ‘জুলাই মাত্র ৩৬ দিনেই বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছে। আমরা জুলাই জাতীয় সনদ ও জুলাই ঘোষণার আলোকে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’

‘গুম : ফ্যাসিবাদী শাসনের নিকৃষ্ট হাতিয়ার’ শীর্ষক এ সেমিনারটি আয়োজন করা হয় ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম আরমানের লেখা ‘আয়নাঘরের সাক্ষী: গুম জীবনের আট বছর’ বইয়ের প্রচ্ছদ উন্মোচন উপলক্ষে। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও প্রচ্ছদ প্রকাশন।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে উপদেষ্টা বলেন, শত শত শহীদের আত্মত্যাগ ও আহতদের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ এক নতুন মোহনায় দাঁড়িয়ে আছে। যারা একসময় গুমের শিকার হয়েছিলেন, আজ তারা কথা বলতে পারছেন। আমরা জানতাম না তারা কোথায় আছে। কারণ ফ্যাসিবাদী শাসন তখন পুরো বাংলাদেশকেই বন্দি করে রেখেছিল।’

আদিলুর রহমান বলেন, দেশ এখন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও দমন-নিপীড়নের অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসেছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতের প্রচেষ্টা চলছে।

তিনি জানান, অপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং যারা অন্যায়ের শিকার হয়েছেন, তারা সেই অন্যায়ের অবসান দেখবেন। জুলাই ঘোষণার চেতনার প্রতি গুরুত্বারোপ করে আদিলুর রহমান বলেন, নতুন বাংলাদেশের দিকে এই রূপান্তর একটি চলমান সংগ্রাম।

তিনি বলেন, ‘যদিও ফ্যাসিবাদ পরাজিত হয়েছে, কিন্তু এটি মাঝে মাঝেই ফিরে আসার চেষ্টা করে। তাই আমাদের মতপার্থক্য ভুলে ঐক্যবদ্ধ থেকে এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’
তিনি সব নাগরিক ও রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্য বজায় রেখে দেশের গণতান্ত্রিক ও সংস্কারমুখী যাত্রাকে অব্যাহত রাখারও আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম, ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম, ‘আয়নাঘর’ ভুক্তভোগী আবদুল্লাহ আমান আজমি এবং অন্যান্য ডাকসু নেতারা বক্তব্য দেন।

এবি/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আমি সালমানের ভয়সে নকল করে কথা বলতে পারতাম: ডন Oct 25, 2025
img
লাল শাড়িতে গ্ল্যামারাস লুকে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী Oct 25, 2025
img
১ ইনিংসে ২ বোলারের হ্যাটট্রিক Oct 25, 2025
জীবনে বরকত লাভের উপায় | ইসলামিক টিপস Oct 25, 2025
img
কুয়াকাটায় সব হোটেল-মোটেল বন্ধের ঘোষণা Oct 25, 2025
img
দুর্বল সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য পিআর চাওয়া হচ্ছে : হাফিজ উদ্দিন Oct 25, 2025
img
এ কারণেই বোকা হয়ে থাকার ভান করি : জাহ্নবী কাপুর Oct 25, 2025
img
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল পুলিশ কনস্টেবলের Oct 25, 2025
img
এনসিএলে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন জয় Oct 25, 2025
img
ধানের শীষই পারে উন্নয়নে নেতৃত্ব দিতে : এ্যানি Oct 25, 2025
অপেক্ষায় ছিলাম, এখনই একটা গুলির আওয়াজ শুনব-সব শেষ হয়ে যাবে Oct 25, 2025
ইসলামী শিক্ষা উন্নয়ন সেমিনারে চবি শিক্ষকের বক্তব্য Oct 25, 2025
img
ভিনিসিউস ও এমবাপেকে আটকে রাখার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বার্সা কোচ Oct 25, 2025
img
সরকার নির্দিষ্ট কিছু দলের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করে যাচ্ছে : চরমোনাই পীর Oct 25, 2025
img
সালমান শাহ-মৌসুমী জুটি ভাঙে সামিরার কারণে : সালমান শাহর ম্যানেজার Oct 25, 2025
img
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ থাকবে : তারেক রহমান Oct 25, 2025
img
‘জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারী’ দলগুলোর ঐক্য চান ফখরুল Oct 25, 2025
img
আ.লীগের অহংকারই তাদের পতনের কারণ ছিল : জাহিদুল ইসলাম Oct 25, 2025
img
ভবিষ্যতে কেউ সম্মান দিয়ে মন্ত্রিত্ব দিতে চাইলেও নেব না : ধর্ম উপদেষ্টা Oct 25, 2025
img
সালমান শাহর মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতাল গিয়ে কী দেখতে পেয়েছিলেন আহমেদ শরীফ? Oct 25, 2025