রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে যখন মানুষ আলোচনা করছে তখন নির্বাচনটা কিভাবে হবে সে বিষয়ে একটা আইন নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। নির্বাচনটা যে আইনের অধীনে হয় সে আইনটাকে বলা হয় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা ইংরেজীতে সংক্ষেপে আরপিও। আরপিও সংশোধিত হয়ে উপদেষ্টা পরিষদের কমিটিতে যে ক্যাবিনেট আছে সেখানে এটা অনুমোদিত হয়েছে। এটা অধ্যাদেশ হিসেবে অনুমোদিত হয়েছে, প্রেসিডেন্ট সিগনেচার করলে এটা অধ্যাদেশ হয়ে যাবে।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদ কামাল বলেন, এখন দেশে নতুন নতুন যত আইন হচ্ছে সবই অধ্যাদেশ। কারণ দেশে এখন কোনো সংসদ নাই। সংসদ না থাকলে আইনটা বানাবে কে? সংসদেরই কাজ আইন বানানো।
সরকার একটা অধ্যাদেশের মত করে, যেটা দিয়ে আমাদের কাজ চালাতে হবে। প্রেসিডেন্ট সিগনেচার করে দেয়। পরবর্তীতে যখন প্রথম সংসদটা আসবে সেই সংসদের কাজ হবে সবগুলো অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করা অথবা প্রত্যাখ্যান করা। প্রত্যাখ্যান করলে আইনটা বাতিল হয়ে যাবে।
মাসুদ বলেন, আরপিওতে নতুন কিছু বিষয় এসেছে। পুরনো অনেকগুলো বিষয় রয়ে গেছে। নতুন বিষয়গুলোর মধ্যে পোস্টাল ভোটিংটা চালু হয়েছে। যারা বিদেশে আছেন তারা ভোট দিতে পারবেন এবার। এটা আগে ছিল না।
এটা একটা অসাধারণ এবং ভালো পরিবর্তন।
৫০ হাজার টাকা জামানত বাড়ানো হয়েছে যা পছন্দ হয়নি উল্লেখ করে মাসুদ বলেন, যদি কোথাও অনিয়ম হয় আওয়ামী লীগ সরকার যেটা করেছিল, যে কেন্দ্রে অনিয়ম হবে কেবল সেই কেন্দ্রের ভোট বাতিল করতে পারবে। অন্যান্য কেন্দ্রের ভোট ঠিকই থাকবে। এখন নির্বাচন কমিশন চাইলে পুরো আসনের নির্বাচনটাই বাতিল করতে পারবে।
আরো একটা আইন হয়েছে যা পছন্দ হয়েছে তুলে ধরে মাসুদ আরো বলেন, যদি আদালতে কেউ ফেরারি হয়, যদি পালিয়ে থাকে, মামলা হয়েছে সে আদালতে হাজিরা দিচ্ছে না তাহলে সে নির্বাচন করতে পারবে না। আপনি পালিয়ে থাকবেন কেন? আপনাকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। আপনি হাজিরা দেন, জেলে থাকবেন, জেলে থেকে নির্বাচন করতে পারবেন কিন্তু পালিয়ে থাকবেন কেন?
এবি/টিকে