প্রেসিডেন্ট জিয়া বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন : এ্যানি

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জিয়া বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন। দেশের স্বাধীনতা এবং স্বার্বভৌমত্বকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে তার শাহাদাত বরণের পর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপসহীন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে দেশের হাল ধরেছিলেন। পরপর তিনবার তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। জিয়া ছিলেন জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি ও খালেদা জিয়া ছিলেন জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের ঝুমুর এলাকার বিজয় স্মৃতি স্তম্ভে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো শেষে জনগণের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

এ্যানি বলেন, ১৬ ডিসেম্বরের আগে ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস ছিল। সেদিন শুধু মুক্তিযোদ্ধা না, মুক্তিযুদ্ধে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, দেশ স্বাধীন করার সংগ্রামে-লড়াইয়ে অবতরণ হয়েছিলেন, বাংলাদেশের শিক্ষক, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বুদ্ধিজীবীদেরকে গণহত্যা করা হয়েছিল পাকহানাদার বাহিনীর নেতৃত্বে। ওই আলবদর রাজাকারদের সহযোগিতায় এ গণহত্যা হয়েছিল। যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারা দেশের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত ছিল।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর তারা (রাজাকার) রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা পেয়েছিল সাধারণ ক্ষমা হিসেবে। কিন্তু ওই সাধারণ ক্ষমাকে তারা সম্মান দিতে জানেনি, অবমূল্যায়ন করেছিল। কখনো সেই আওয়ামী ফ্যাসিস্টের সাথে ও কখনো আওয়ামী বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছিল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেশের জন্য যে লড়াই করা, দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তারা নিজেদেরকে সেভাবে দৃশ্যমান, বাস্তবে জনগণের সামনে, জনগণের প্রয়োজনে, দেশের প্রয়োজনে তুলে ধরতে পারেননি। কখনো এগিয়ে আসেননি।

এ্যানি বলেন, কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে জিয়াউর রহমান যদি সেইদিন ঐতিহাসিক ঘোষণা না দিতেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধাদের যদি নেতৃত্ব না দিতেন, রণাঙ্গনে অস্ত্র হাতে যদি যুদ্ধ না করতেন তাহলে স্বাধীন বাংলাদেশ আজকে পর্যন্ত হয়তোবা প্রশ্নবিদ্ধই থেকে যেত। এই যে ঐতিহাসিক ঘোষণা, ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত, একজন সৈনিক তিনি সে সময়ে তরুণ বয়সে দেশের আপামর জনসাধারণের পক্ষে পাকহানাদার বাহিনীদের বিরুদ্ধে যে ঘোষণা দিয়েছেন, আজকে আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করছি।

এ সময় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী, সদর উপজলা (পূর্ব) বিএনপির সভাপতি মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, জেলা ওলামা দলের সভাপতি শাহ মোহাম্মদ এমরানসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।  

এমকে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিজয়ের ৫৪ বছরে প্রত্যাশার তুলনায় প্রাপ্তি কম : ধর্ম উপদেষ্টা Dec 16, 2025
img

প্রধান উপদেষ্টা

১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি চূড়ান্ত Dec 16, 2025
img
তারেক রহমানের জন্য প্রস্তুত বাসভবন ও অফিস Dec 16, 2025
img
হাসিনা-কামালকে দেশে ফেরাতে আইনি প্রক্রিয়া চলছে: প্রধান উপদেষ্টা Dec 16, 2025
img
হাদিকে উপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত সেই মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিকের তথ্য দিলেন কবির Dec 16, 2025
img
তরুণ প্রজন্ম ভিনদেশিদের দাদাগিরি মেনে নেয়নি, নেবে না : মুজিবুর রহমান Dec 16, 2025
img

প্রধান উপদেষ্টা

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিশ্চিতে সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে সরকার Dec 16, 2025
img
সিডনিতে বন্দুক হামলা চালানো যুবক ভারতীয় নাগরিক Dec 16, 2025
img
বাংলাদেশে সহিংস রাজনীতির সংস্কৃতির কোনো জায়গা নেই : রিজওয়ানা হাসান Dec 16, 2025
img
বলিউডের স্পাই সিনেমা ‘ধুরন্ধর’ জন্ম দিল ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক বিতর্কের Dec 16, 2025
img
কারিনা সংসারটাকে আগলে রেখেছে : সাইফ Dec 16, 2025
img
হাদিকে হামলার ঘটনায় ফয়সালের সহযোগী কবির ৭ দিনের রিমান্ডে Dec 16, 2025
img
হাদির সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানাল ইনকিলাব মঞ্চ Dec 16, 2025
img

ওসমান হাদির ওপর হামলা

ষড়যন্ত্রে জড়িতদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না : প্রধান উপদেষ্টা Dec 16, 2025
img
হাদির আরও একটি সার্জারি প্রয়োজন, তবে প্রস্তুত নয় শরীর Dec 16, 2025
img
নারী চিকিৎসকের নিকাব টেনে খুললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধীদের নিন্দা Dec 16, 2025
img
বাংলাদেশ প্রসঙ্গ এড়িয়ে সীমান্ত রক্ষা’র কথা বললেন রাহুল গান্ধী Dec 16, 2025
img
প্রথমবারের মতো 'বিগ ব্যাশে' রিশাদের দারুণ অভিষেক Dec 16, 2025
img
প্রেসিডেন্ট জিয়া বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন : এ্যানি Dec 16, 2025
img
১৮ কোটিতে পাথিরানাকে দলে নিল কলকাতা Dec 16, 2025