শক্তিশালী অর্থনীতি ও শিক্ষাব্যবস্থার কারণে সুইজারল্যান্ডকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নর্ডিক ও এশীয় প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে এই খেতাব হারানোর পর সুইজারল্যান্ডকে আবারও বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
থিংক ট্যাংক এইট কম্পিটিটিভনেস ল্যাব প্রকাশিত ‘কম্পিটিটিভনেস রিপোর্ট ২০২৫’-এ ৫৮টি দেশকে অর্থনীতি, শিক্ষা, সমাজ ও স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে মূল্যায়ন করা হয়েছে।
এতে সুইজারল্যান্ড অর্থনীতি ও শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রথম স্থান অর্জন করেছে, পাশাপাশি স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে চতুর্থ ও সমাজের ক্ষেত্রে অষ্টম স্থান পেয়েছে। আলপাইন দেশটি শুধু ইউরোপেই নয়, বৈশ্বিক পর্যায়েও প্রতিযোগিতামূলকতার শীর্ষে রয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, বাস্তববাদিতা ও সংক্ষিপ্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মতো গভীরভাবে প্রোথিত সাংস্কৃতিক উপাদানগুলো সুইস সরকারকে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় সংকট মোকাবিলায় আরও সক্ষম করে তুলেছে। এছাড়াও ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির ওপর গুরুত্ব, আন্তর্জাতিক বিনিময়ের প্রতি জোর এবং ঐতিহ্যবাহী সুইস মূল্যবোধের যত্ন নেওয়াকেও প্রশংসা করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, সুইজারল্যান্ড শীর্ষস্থান অর্জন করেছে তার দৃঢ় অর্থনৈতিক ভিত্তি, শক্তিশালী অবকাঠামো, উচ্চ উদ্ভাবনী সক্ষমতা এবং সুশৃঙ্খল আর্থিক পরিস্থিতির কারণে।
এবি/টিকে