নরসিংদীর রায়পুরায় অভিযান চালিয়ে দেশি-বিদেশি অস্ত্রসহ আটজনকে গ্রেফতারের পর র্যাব বলছে, পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আসত অস্ত্রের যোগান। আবার কখনো কারিগরকে নিজ এলাকায় এনে তৈরি করা হত অস্ত্র, যা দিয়ে আধিপত্য বিস্তার করতে সংঘর্ষে জড়ান কিছু ব্যক্তি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন র্যাব ১১- এর অধিনায়ক এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
শনিবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব ১১- এর অধিনায়ক এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
তিনি জানান, গত কয়েক মাসে নরসিংদীতে এসব সংঘর্ষে ৫ জন নিহত এবং আহত হন ৫০ জনের মতো। অপরাধ কার্মকাণ্ডের পর তারা পালিয়ে যান চরাঞ্চলে। এসব ঘটনায় জড়িত আটজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব- ১১। উদ্ধার করা হয় দেশি-বিদেশি বেশ কিছু অস্ত্র ও গোলা।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, এসব অস্ত্রের যোগান আসে নদীপথে পাশ্বর্বর্তী দেশ থেকে। কক্সবাজারের মহেশখালী ও পাহাড়ি এলাকায় কিছু কারিগর রয়েছেন। সেখান থেকেও তারা অস্ত্রগুলো সংগ্রহ করেন। কখনো কখনো তারা ওই জায়গা থেকে কারিগর তাদের এলাকায় এনেও অস্ত্র তৈরি করান।
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ত্বকি হত্যাকাণ্ডে বিষয়ে জানতে চাইলে এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, মামলার তদন্ত প্রায় শেষ। শিগগিরই দেয়া হবে চার্জশিট। মামলার চার্জশিটে উঠে আসবে বিস্তারিত।
এমকে/টিকে