অবস্থা সংকটাপন্ন: ইউনাইটেড হাসপাতালে মাহফুজুর রহমান খান

দশবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত খ্যাতিমান চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান। শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে গত কয়েকদিন ধরে তিনি রাজধানীর গ্রীন লাইফ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। তবে তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গতকাল রাতে মাহফুজুর রহমান খানের ছোট ভাই হাবিবুর রহমান খান বেলজিয়াম থেকে দেশে ফিরেছেন।

এদিকে আজ সকালে ভাই ও তার পরিবারের সিদ্ধান্তে মাহফুজুর রহমান খানকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। বিষয়টি বাংলাদেশ টাইমস প্রতিনিধির কাছে নিশ্চিত করেছেন চলচ্চিত্র চিত্রগ্রাহক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মজনু।

তিনি বলেন, আজ সকালে তার ছোট ভাই ও পারিবারিক সিদ্ধান্তে মাহফুজুর রহমান খানকে রাজধানীর গ্রীন লাইফ হাসপাতাল থেকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তাকে লাইফ সাপোর্টে যেসব মেডিসিন দেয়া হচ্ছিল, সেসব ঠিক রেখে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে করে ইউনাইটেড হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছে।

মাহফুজুর রহমান খান দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও ফুসফুসের রোগে ভুগছিলেন। রাজধানীর পুরান ঢাকার বাসায় গত ২৫ নভেম্বর হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত ৯টা নাগাদ তাকে গ্রীন লাইফ হাসপাতালে নেয়া হয়।

এদিকে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২৫ নভেম্বর রাতে বাসায় খাবার খাওয়ার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার কাশির সঙ্গে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। মুহূর্তেই তিনি জ্ঞান হারান। এরপর স্বজনেরা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখার পরামর্শ দেন।

মাহফুজুর রহমান খানের স্ত্রী মারা যান ২০০১ সালে। তখন থেকেই ধীরে ধীরে তার অসুস্থতা বাড়তে থাকে। পেশাদার চিত্রগ্রাহক হিসেবে মাহফুজুর রহমান খান ১৯৭২ সালে প্রথম চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তিনি আলমগীর কবির, আলমগীর কুমকুম, হুমায়ূন আহমেদ, শিবলি সাদিকদের মতো খ্যাতিমান চলচ্চিত্র পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেন। বিশেষ করে হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত প্রায় সব চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রাহক তিনি।

‘আনন্দ অশ্রু’, ‘হাজার বছর ধরে’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘ঘেটুপুত্র কমলা’, ‘আগুনের পরশমনি’র মতো অসংখ্য জনপ্রিয় ছবির চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান। বরেণ্য এ চিত্রগ্রাহক ১৯৪৯ সালের ১৯ মে পুরান ঢাকার হেকিম হাবিবুর রহমান রোডের এক বনেদী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

মাহফুজুর রহমান খান দশবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের পাশাপাশি তিনি আটবার বাচসাস পুরস্কারও অর্জন করেন।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গণ-অভ্যুত্থানের পর গণতন্ত্র ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে : মঞ্জু Nov 07, 2025
img
আগামীর বাংলাদেশও তরুণদের হাত ধরেই গড়ে উঠবে : জামায়াত আমির Nov 07, 2025
img
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল পেরু Nov 07, 2025
img
ছয় ছবিতে একসঙ্গে কীর্তি সুরেশ, নতুন রূপে ফিরছেন পর্দায়! Nov 07, 2025
'দিল্লির বিরুদ্ধে কাজ করা মানে আমরা সঠিক পথে আছি' Nov 07, 2025
img
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট করার সুযোগ নেই : জয়ন্ত কুমার Nov 07, 2025
img
ভিয়েতনামে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বাংলাদেশির Nov 07, 2025
img
হারিয়ে যাওয়া আসনগুলো ফিরিয়ে আনতে হবে: রিতা Nov 07, 2025
ব্যর্থতার পর সাফল্যের গল্প লিখছেন ভ্লগার ফারাহ Nov 07, 2025
প্রেমের সুরে ভাইরাল ‘চিকিরি’ প্রোমো Nov 07, 2025
যৌন হয়রানি ইস্যুতে বিসিবির বাইরে স্বাধীন তদন্ত চান তামিম Nov 07, 2025
ফ্যাসিবাদী কাঠামো এখনও রয়ে গেছে, দাবি নাহিদ ইসলামের Nov 07, 2025
img
বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে উদ্যোগ ও অগ্রগতির প্রশংসা করলেন মালদ্বীপের ফার্স্ট লেডি Nov 07, 2025
img
মনোনয়ন না পেয়ে ধানক্ষেতে গিয়ে পুনর্বিবেচনার আবেদন বিএনপি নেতার Nov 07, 2025
img
ভালো মানুষকে ভোট দিন, দেশও ভালো হবে : নুর Nov 07, 2025
img
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১১তম গ্রেডের সুপারিশ Nov 07, 2025
img
বাংলাদেশকে বারবার গিলে খাওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছে: রিজভী Nov 07, 2025
img
বেলিংহ্যাম ও ফোডেনকে দলে ফিরিয়ে স্কোয়াড ঘোষণা ইংল্যান্ডের Nov 07, 2025
img
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল তিন মোটরসাইকেল আরোহীর Nov 07, 2025
img
আ. লীগের যারা কোনো জুলুম করেনি তাদের পাশে আমরা থাকব : রাশেদ খান Nov 07, 2025