বেলজিয়ামের একটি বিমানঘাঁটিতে কয়েকটি ড্রোন দেখা গেছে, যা 'সামরিক যুদ্ধবিমান নজরদারি' করার উদ্দেশ্যে ছিল বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী থিও ফ্রাঙ্কেন।
তিনি অভিযোগ করেন, 'ড্রোনর মাধ্যমে নজরদারি করা হয়েছে—'এফ-১৬' বিমান কোথায় আছে, যুদ্ধাস্ত্র কোথায় আছে এবং অন্যান্য গোপনীয় কৌশলগত বিষয়গুলো কোথায় আছে তা দেখার জন্য।'
তিনি আরও উল্লেখ করেন, একটি ড্রোন বিমানঘাঁটির ওপর 'দীর্ঘ সময়' অবস্থান করেছিল, যা স্পষ্টভাবে খোঁজখবর নেয়ার জন্যই করা হয়েছে।
ক্লেইন-ব্রোগেল বিমানঘাঁটি বেলজিয়ামের অন্যতম বৃহত্তম সামরিক ঘাঁটি। এই ঘাঁটি মূলত 'ন্যাটোর পারমাণবিক প্রতিরক্ষা কৌশলে অবদান রাখে' বলে দাবি করেছেন বেলজিয়ামের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
স্থানীয় মিডিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এই ঘাঁটিতে মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্র থাকার গুঞ্জন রয়েছে। ন্যাটো সিএনএনকে বলেছে, এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য বেলজিয়ামের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে।
ঘাঁটিতে 'এফ-১৬' যুদ্ধ বিমান রয়েছে, যা কয়েক বছরের মধ্যে 'আল্ট্রা মর্ডান' এফ-৩৫ বিমানে পরিবর্তিত হবে।
ফ্রাঙ্কেন বলেন, 'রাশিয়া সম্ভবত সব ইউরোপীয় দেশে এমন নজরদারি চেষ্টা করছে,' তবে তিনি সরাসরি মস্কোর ওপর অভিযোগ করেননি।
ড্রোন ইন্টারসেপটের বিষয়ে ফ্রাঙ্কেন জোর দিয়ে বলেন, 'ড্রোন জ্যামার ব্যবহার করা হয়েছিল, কিন্তু সফল হয়নি। হেলিকপ্টার ও পুলিশ যানবাহন ড্রোনের পেছনে গিয়েছিল, কিন্তু কয়েক কিলোমিটারের পর তা হারিয়ে যায়।'
শনিবার আরও কিছু ড্রোন ক্লেইন-ব্রোগেল বিমানঘাঁটিতে দেখা যাওয়ার পর একটি তদন্ত শুরু হয়। ফ্রাঙ্কেন ঘোষণা করেছেন, 'সামরিক এলাকার ওপরে ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ'।
এই ঘটনার আগে, লিথুয়ানিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করেছিল “আকাশপথ লঙ্ঘনের' অভিযোগে। এছাড়া, গত মাসে বেলজিয়ামের এলসেনবর্ন সামরিক ঘাঁটিতে এবং জার্মান সীমান্তের দিকে কিছু অজানা ড্রোন দেখা যায়।
ইউটি/টিএ