শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী সোমবার (১০ নভেম্বর) ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের আগে এই প্রস্তাব আনা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ওয়াশিংটনের যে খসড়া প্রস্তাবটি দেখেছে, তাতে সিরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস খাত্তাবের ওপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে। তবে প্রস্তাবটি কবে ভোটে তোলা হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।

কোনো প্রস্তাব পাসের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে অন্তত ৯টি ভোট এবং স্থায়ী পাঁচ সদস্য দেশগুলো (রাশিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের) কোনোটির ভেটো না থাকা প্রয়োজন হয়।

ওয়াশিংটন গত কয়েক মাস ধরে সিরিয়ার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার আহ্বান জানিয়ে আসছে।

১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের পর গত বছর ডিসেম্বর মাসে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করা হয়। হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র বিরোধী বাহিনীর অভিযানে এই পতন ঘটে।

পূর্বে নুসরা ফ্রন্ট নামে পরিচিত এইচটিএস ২০১৬ সালে আল-কায়েদার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। তবে ২০১৪ সালের মে মাস থেকে এই সংগঠনটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আল-কায়েদার সঙ্গে আইএসআইএস নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।

এই তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে আল-শারা ও আনাস খাত্তাবসহ একাধিক এইচটিএস সদস্যের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দ ও অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটি চলতি বছর আল-শারার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা একাধিকবার সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করেছে।

ফলে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবটি আগামী সোমবারের আগে গৃহীত না হলেও, সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের হোয়াইট হাউস সফরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ট্রাম্প গত মে মাসে এক ঘোষণায় সিরিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন, যা ছিল ওয়াশিংটনের পররাষ্ট্রনীতিতে একটি বড় পরিবর্তন।

এদিকে, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা তদারককারী পর্যবেক্ষকরা জুলাইয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, চলতি বছরে আল-কায়েদা ও এইচটিএস-এর মধ্যে কোনো সক্রিয় সম্পর্ক দেখা যায়নি। 

টিজে/এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সর্বমিত্রের মাস্তানি আসলে শিবিরের মাস্তানি : জাহেদ উর রহমান Nov 05, 2025
img
সব অভিমান ভুলে আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করবো: বিএনপি প্রার্থী Nov 05, 2025
img
গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারালেন এরশাদ উল্লাহ'র সহযোগী সরোয়ার বাবলা Nov 05, 2025
img
খুলনায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পরিদর্শনে জয়া আহসান ও ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত Nov 05, 2025
img
দেশজুড়ে এক মাসে ১৮ জেলায় কনসার্ট অ্যাশেজের Nov 05, 2025
img
সুনীল ছেত্রীকে ছাড়াই বাংলাদেশে খেলতে আসছে ভারত Nov 05, 2025
img
মামদানিকে শুভেচ্ছা জানালেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান Nov 05, 2025
img
প্রতিবাদী ও বুদ্ধিজীবী আলোচনা বিনোদনের আড়ালে: কৌশিক সেন Nov 05, 2025
img
দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে টেস্ট দলে জায়গা পেলেন পান্ত Nov 05, 2025
img
লামিনে ইয়ামাল রিয়ালে মাদ্রিদে খেলার অযোগ্য: ইভান জামোরানো Nov 05, 2025
img
সর্ব মিত্রকে ট্রায়ালে ফেলবেন না : জুমা Nov 05, 2025
img
জাতীয় সংসদের অর্ধেক আসনের দাবি নারী নেত্রীদের Nov 05, 2025
img
জনসমর্থনে শীর্ষ ১০ এর ভিতর না থাকলে রাজনীতি ছাড়বেন তারেক রহমান Nov 05, 2025
img
বার্সেলোনার দায়িত্ব ছাড়ছেন কোচ হান্সি ফ্লিক! Nov 05, 2025
img
কিছুক্ষণ পরই আকাশে দেখা দেবে ‘সুপারমুন’ Nov 05, 2025
img
রিমান্ডে সেই বুয়েট ছাত্র শ্রীশান্ত Nov 05, 2025
img
সার্ভার ত্রুটির কারণে নভেম্বরের এমপিও আবেদনের সময়সীমা বাড়াল মাউশি Nov 05, 2025
img
বরখাস্ত করা হলো পাকা কলা ঘুস নেওয়া সেই কর্মচারীকে Nov 05, 2025
img
দেশে কোটিপতির সংখ্যা যেভাবে বেড়েছে তা ‘উদ্বেগজনক’: নজরুল ইসলাম খান Nov 05, 2025
img
আওয়ামী লীগের যে কোনো কর্মসূচিতে আইনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে: প্রেস সচিব Nov 05, 2025