ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন হলে ‘বিনামূল্যে ক্যান্টিনে খাদ্যগ্রহণ’ এবং বিভিন্ন অনিয়মে অভিযুক্ত হয়ে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের বিশেষ বিবেচনায় পুনরায় হলে বরাদ্দকৃত সিট বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও ফজলুল হক মুসলিম হল সংসদের প্রতিনিধিরা।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে উপাচার্যের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেওয়া শেষে সংবাদ সম্মেলনে ডাকসু নেতারা তাদের অভিযোগ ও অবস্থান তুলে ধরেন।
তারা অভিযোগ করেন, ‘ফ্যাসিবাদের সময় নির্যাতনের কারণে নিয়মিত পড়াশোনা করতে না পারা শিক্ষার্থীদের বিশেষ বিবেচনায় ভর্তি ও সিট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এদের মধ্যে অনেকেই অতীতে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন বা বছরের পর বছর প্রথম বর্ষেই পড়ে আছেন। এসব শিক্ষার্থী হলে শিক্ষার্থীদের মেধা ও মনন বিকাশে বাধা সৃষ্টি করছে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে হলে থাকতে অনিচ্ছুক।’
ফজলুল হক মুসলিম হল সংসদের ভিপি আবু নাঈম বলেন, এদের মধ্যে কেউ কেউ ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী, যারা আবার প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছেন। এখন ৩৭-৩৮ বছর বয়সি এসব ‘আদু ভাই’ আমাদের ২১-২২ বছর বয়সি নবীন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হলে অবস্থান করছেন যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
ডাকসুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, বিগত সময়েও দেখা গেছে, ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী বছরের পর বছর ‘রি-এড’ নিয়ে হলে সিট দখল করে থেকেছেন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভুত্ব কায়েম করেছেন। আমরা সেই সংস্কৃতি পুনরায় ফিরে আসতে দিতে পারি না।
ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা বলেন, ‘যেসব শিক্ষার্থী ক্যান্টিনে টাকা না দিয়ে খাওয়ার অভিযোগে বা বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে বহিষ্কৃত হয়েছেন, তাদের পুনরায় হলে সিট দেওয়া হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মবিরোধী। বর্তমানে হলে সিটের তীব্র সংকট রয়েছে; প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী সিট না পেয়ে আমাদের অফিসে আসেন। তাই আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছি, বিশেষ বিবেচনায় বরাদ্দ দেওয়া এসব সিট বাতিল করে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হোক।’
ইউটি/টিএ