বিশ্ববাজারে ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘস্থায়ী সরকারি অচলাবস্থা (শাটডাউন) ও দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আশঙ্কার মধ্যে বিনিয়োগকারীদের স্বর্ণে আগ্রহ বেড়েছে। একই সঙ্গে ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) আরও সুদের হার কমানোর প্রত্যাশায় শুক্রবার আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত স্পট গোল্ডের দাম ০.৬ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৩,৯৯৯.৮৯ ডলারে দাঁড়ায়।

স্বাধীন বিশ্লেষক রস নরম্যান বলেন, স্বর্ণের ঊর্ধ্বমুখী ধারা এখনো অব্যাহত আছে। স্বর্ণের দামের পেছনের মূল কারণগুলো-বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর স্বর্ণ ক্রয় ও সুদের হার কমার সম্ভাবনা।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে অক্টোবর মাসে সরকারি ও খুচরা খাতে চাকরি হারিয়েছেন অনেকে। পাশাপাশি ব্যয়সংকোচন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে ছাঁটাইয়ের সংখ্যা বেড়েছে। দুর্বল চাকরির বাজার সাধারণত ফেডকে সুদের হার কমানোর দিকে উৎসাহিত করে।

বাজার পর্যবেক্ষকদের হিসেবে, ডিসেম্বরেই ফেডের আরও একটি সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা এখন ৬৭ শতাংশ, যা আগে ছিল প্রায় ৬০ শতাংশ। গত সপ্তাহে ফেড সুদের হার কমিয়েছে এবং চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল ইঙ্গিত দিয়েছেন-এটাই সম্ভবত এ বছরের শেষ হার হ্রাস।

এএনজেড ব্যাংকের পণ্য বিশ্লেষক সোনি কুমারি বলেন, এখন বাজারের নজর মূলত ম্যাক্রোইকোনমিক সূচক এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরকার কখন অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠবে-এ দিকে। এই অনিশ্চয়তা নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণের চাহিদা আরও বাড়াচ্ছে।

দীর্ঘস্থায়ী কংগ্রেসীয় অচলাবস্থার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ সরকার অচলাবস্থা চলছে, যা বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি তথ্যনির্ভর ফেডকেও বেসরকারি খাতের সূচকের ওপর নির্ভর করতে বাধ্য করছে।

অন্যদিকে, শুক্রবার স্পট সিলভার ১.২ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৪৮.৫৮ ডলারে পৌঁছেছে। প্লাটিনাম ০.৪ শতাংশ বেড়ে ১,৫৪৭.৪৫ ডলার এবং প্যালাডিয়াম ০.৭ শতাংশ বেড়ে ১,৩৮৪.১৮ ডলারে উঠেছে। তবে সপ্তাহের হিসাবে এই তিনটি ধাতুর দামই নিম্নমুখী ধারায় রয়েছে।

টিজে/টিকে   

Share this news on:

সর্বশেষ

img
খুলনায় এনসিপি নেতার গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তন্বীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা Dec 23, 2025
img
দিল্লির আশ্বাসের প্রতিফলন চায় ঢাকা : মুখপাত্র Dec 23, 2025
img
বিয়ে করলেন আসিফ আকবরের ছোট ছেলে Dec 23, 2025
img
হাসনাতের পক্ষে মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা Dec 23, 2025
img
আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলা, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিতে পরিবারের আবেদন Dec 23, 2025
যে কারণে ছেলের হাতে প্রতিদিন মার খান মা Dec 23, 2025
img
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নয়, ভোটার নিয়োগ হয় : সালাহউদ্দিন আম্মার Dec 23, 2025
img
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের দিকে আসা বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ Dec 23, 2025
img
বিপিএলে সিলেটের শিরোপা জয়ে আত্মবিশ্বাসী এবাদত Dec 23, 2025
img
চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকায় যাচ্ছেন ১০ হাজার বিএনপি নেতাকর্মী Dec 23, 2025
img
মুদির দোকান থেকেও সাফল্য সম্ভব: প্রতীক সেন Dec 23, 2025
img
হাদির ঘটনায় ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির ফের ৫ দিনের রিমান্ডে Dec 23, 2025
img
অসুস্থ এমপি প্রার্থী, সাতক্ষীরা থেকে হেলিকপ্টারে নিয়ে আসা হয়েছে ঢাকায় Dec 23, 2025
img
ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল আনা হবে: অর্থ উপদেষ্টা Dec 23, 2025
img
নোয়াখালীতে ২ গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ৫ Dec 23, 2025
img
ডিসেম্বরের ২২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এলো ২৪২ কোটি ডলার Dec 23, 2025
তারেক রহমানকে দেখতে মঞ্চের পাশে রাত দিন কাটাচ্ছে যে পরিবার! Dec 23, 2025
img
দুই চ্যাম্পিয়নের লড়াইয়ে জয় পেল না কেউ Dec 23, 2025
img
এই জন্মে গানই শেষ ঠিকানা, অভিনয় ছাড়ার বিষয়ে জোজোর মন্তব্য Dec 23, 2025
img
ফলাফল নিয়ে চিন্তা না করে ভালো ক্রিকেট খেলাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন অঙ্কন Dec 23, 2025