বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে নারীদের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করা হয়েছে। আজ সংসদের স্পিকার, ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও বিরোধী দলের নেতা সবাই নারী। এছাড়া রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদেও নারীরা গর্বের সঙ্গে কাজ করছেন।

সোমবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেগম রোকেয়া নারীদের নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করছি। বেগম রোকেয়া তার বইয়ে লিখে গেছেন, নারীরা একদিন লেখাপড়া শিখে জজ, ব্যারিস্টার, ডাক্তার হবে। শুধু জজ-ব্যারিস্টার নয়, নারীরা এখন সবক্ষেত্রে দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, নারীদের শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ দিতে জাতির জনক মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করে দিয়েছিলেন। নারীদের জুডিশিয়াল সার্ভিসে প্রবেশের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমাদের সরকার হাইকোর্টে বিচারপতি নিয়োগের সুযোগ করে দিয়েছে। এছাড়া সেনা, নৌ ও পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীতে নারীদের প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। আমি প্রথমবারের মতো সচিব পদে নারীদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করেছি। ডিসি, এসপিসহ বিভিন্ন উচ্চপদে নারীদের কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী অরও বলেন, সমাজের অর্ধেক মানুষ নারী। সেই নারীদের বাদ দিয়ে অর্থাৎ একটি অঙ্গকে বাদ দিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। দেশে বর্তমানে নারী-পুরুষ সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করছে, এ কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, নারী-পুরুষের সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোলমডেল। বেগম রোকেয়ার কর্মে ও আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আজকের নারীরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে এগিয়ে যাবেন।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেগম ফজিলাতুনন্নেসা ইন্দিরা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন্নাহার।

অনুষ্ঠানে বেগম রোকেয়া পদকের জন্য মনোনিতদের হাতে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

এবার বেগম রোকেয়া পদক পেয়েছেন পাঁচ নারী। তারা হলেন- বেগম সেলিনা খালেক (নারী শিক্ষা, নারী অধিকার, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণে অবদান), নারী শিক্ষায় অধ্যক্ষ শামসুননাহার, ড. নুরুননাহার ফয়জননেসা (মরণোত্তর), মিজ পাপড়ি বসু (নারীর অধিকার, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান) এবং বেগম আখতার জাহান (নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান)।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: