ত্রিপুরারী পূর্ণিমার আলোয় নতুন ইতিহাস গড়ল জিও ক্রিয়েটিভ ল্যাবস। দীর্ঘ প্রস্তুতির পর প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা দিল তাদের প্রথম অ্যানিমেটেড পৌরাণিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ত্রিপুরান্তক-এর। এই ছবির মধ্য দিয়েই সূচনা হলো ‘মাইথোভার্স’—ভারতের প্রাচীন পুরাণকাহিনি ও মহাকাব্যগুলোর আধুনিক পুনর্কথনভিত্তিক এক নতুন চলচ্চিত্রবিশ্বের।
ত্রিপুরান্তক ছবিতে দেবাদিদেব শিবের চিরন্তন কাহিনি তুলে ধরা হবে এক নতুন আঙ্গিকে। শিব এখানে ত্রিপুরারী রূপে অন্ধকারের বিনাশী, যিনি দানবীয় শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে পুনঃস্থাপন করবেন বিশ্বে ন্যায় ও আলোর শৃঙ্খলা। ছবিটির নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশ্বমানের অ্যানিমেশন প্রযুক্তি ও গভীর আবেগময় গল্প বলার কৌশল, যা দর্শকদের সামনে নতুনভাবে হাজির করবে ভারতীয় পুরাণের মহিমা।
জিও ক্রিয়েটিভ ল্যাবসের প্রধান আদিত্য ভাট এই প্রকল্পকে শুধুই সিনেমা নয়, বরং এক আন্দোলন বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর ভাষায়, “ত্রিপুরান্তক শুধুমাত্র একটি চলচ্চিত্র নয়—এটি ভারতীয় প্রজ্ঞার এক বিশ্বজাগরণ। আমরা চাই, ভারতের জীবন্ত জ্ঞান ঐতিহ্যকে বিশ্বের সামনে পৌঁছে দিতে, আন্তর্জাতিক মান ও দৃষ্টিকোণ নিয়ে।”
২০২৬ সালের নভেম্বরে ২০টিরও বেশি ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাষায় মুক্তি পাবে ত্রিপুরান্তক। এটি হতে চলেছে ভারতের অন্যতম বৃহৎ অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র প্রকল্প, যেখানে একসঙ্গে মিশবে প্রযুক্তি, সংস্কৃতি ও কল্পনার অনন্য এক মেলবন্ধন।
ত্রিপুরান্তক-এর মাধ্যমেই আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল জিওর ‘মাইথোভার্স’। প্রাচীন পুরাণের চিরন্তন আলোক ও অন্ধকারের দ্বন্দ্ব এবার রূপ নেবে রূপালী পর্দায়, আর তাতেই হয়তো শুরু হবে ভারতীয় অ্যানিমেশনের নতুন যুগ।
আরপি/টিকে