ইতালির ক্লাব নাপোলির ঐতিহ্যবাহী মাঠ ‘স্টাডিও দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা’। আর্জেন্টিনা ও নাপোলির কিংবদন্তি ম্যারাডোনার নামে নামকরণ করা এই মাঠটিকে সম্প্রতি ‘আবর্জনার ভাগাড়’ বলেছেন ক্লাব মালিক অরেলিও ডি লরেন্তিস। তিনি দাবি করেছেন, এই পুরোনো ও জরাজীর্ণ মাঠটি অবিলম্বে পরিবর্তন করা প্রয়োজন।
মিলানে ফুটবল বিজনেস ফোরামে কথা বলতে গিয়ে ডি লরেন্তিস বলেন, ‘এই ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে আমরা সর্বোচ্চ তিন মিলিয়ন ইউরো আয় করতে পারি।
কিন্তু এসি মিলান আর ইন্টার মিলান তাদের হোম ম্যাচ থেকে ১৪ মিলিয়ন ইউরো পর্যন্ত আয় করে। পার্থক্যটা দেখছেন?’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি একই কথা বলেছিলাম ২০১৮ সালে, যখন (কার্লো) আনচেলোত্তি এসেছিল। প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) তাদের স্টেডিয়ামের জন্য আমাদের মতোই ভাড়া দেয়, কিন্তু তারা বছরে ১০০ মিলিয়ন ইউরো আয় করে কারণ ওদের সম্পূর্ণ একচ্ছত্র অধিকার আছে। আর আমরা স্টেডিয়াম পাই মাত্র তিন দিনের জন্য — ম্যাচের আগের দিন, ম্যাচের দিন, আর পরের দিন।
মাঠের সঙ্গে দর্শকদের দূরত্ব নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা একেবারে পুরোনো ধাঁচের স্টেডিয়াম। এখানে অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক, এমনকি একটি পরিখা আছে, যা দর্শকদের আরও দূরে ঠেলে দেয়।’
মিলান ও ইন্টার ইতিমধ্যে শহর কাউন্সিলের কাছ থেকে ১৯৭ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে সান সিরো কিনে নিয়ে সেটি ভেঙে অত্যাধুনিক নতুন অ্যারেনা নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।
ডি লরেন্তিস জানান, তিনি নাপোলির জন্য নিজ অর্থে একটি ৭০ হাজার দর্শকধারী নতুন স্টেডিয়াম তৈরি করতে চান।
লরেন্তিস বলেন, ‘এখানকার প্রশাসকরাই ফুটবলের সবচেয়ে বড় শত্রু। তারা বোঝে না এখানে অন্তত ২ কোটি ৫০ লাখ ভোটার আছেন, যারা এই খেলাটিকে ভালোবাসেন। আমাদের আরও স্বাধীনতা দিতে হবে, যেন ক্লাবগুলো নিজেরাই স্টেডিয়াম বানাতে পারে বা পুরোনোটি রূপান্তর করতে পারে। বাসস্থান-সংযুক্ত প্রকল্প থাকলে সেখান থেকেও দীর্ঘমেয়াদি আয় আসবে।’
টিএম/টিকে