২০১২ সালে ‘ভালোবাসার রঙ’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্র অভিষেক হয়েছিল বাপ্পী চৌধুরী ও মাহিয়া মাহির। এরপর তারা একসঙ্গে প্রায় একডজন সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকদের পরিচিতি পেয়েছিলেন। জুটি হিসেবেও বেশ প্রতিষ্ঠা পায়। সর্বশেষ দুজনকে দেখা গিয়েছিল ‘পলকে পলকে তোমাকে চাই’ সিনেমায়। এটি মুক্তি পায় ২০১৬ সালে। কিন্তু এর পর থেকে দুজনেই চলচ্চিত্রে অনিয়মিত হয়ে পড়েন।
প্রায় নয় বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে গেল অক্টোবরে আবার একসঙ্গে দেখা যায় বাপ্পী-মাহিকে। চিত্রনায়ক কাজী মারুফের বাসায় গত মঙ্গলবার তার বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ১০ বছর পর মুখোমুখি হন বাপ্পি ও মাহি। পুরোনো সহশিল্পীকে কাছে পেয়ে দুজনেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। আড্ডায় মেতে ওঠেন, স্মৃতিচারণ করেন এবং খুনসুটিতেও দেখা যায় তাদের।
মাহির সঙ্গে আপনাকে দেখে অনেকে ধারণা করেছিলেন নতুন ছবির খবর আসছে। এ প্রসঙ্গে বাপ্পী বলেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে শেষ সফল জুটি আমরাই। একসঙ্গে দশটির মতো ছবি করেছি। নব্বই শতাংশই কিন্তু ব্যবসাসফল। এখনো এই প্রজন্মের দর্শকের কাছে আমাদের ক্রেজ আলাদা।
যুক্তরাষ্ট্রে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে বাপ্পী বলেন, আমরাও চাই আবার দর্শকের কাছে ফিরতে। মাহি বলেছিল, যত দ্রুত সেটা বাস্তবায়ন করা যায়। আমি এর পরেরবার আমেরিকায় গিয়ে এক মাসের বেশি সময় থাকলে দুজনে একটা ছবি করব। নির্মাতা ওখানকারই থাকবে। তা ছাড়া অনেক শিল্পীই তো আমেরিকায় স্থায়ী হয়েছেন। কাজী মারুফ ভাই থেকে শুরু করে মৌসুমী আপু, মিশা সওদাগর ভাই পুরো ছবি ওখানে শেষ করতে অসুবিধা হবে না। বলতে পারেন এটা নিয়ে পরিকল্পনাও করেছি আমরা।
অনেকে বলছে বাপ্পীকে কেউ আর সিনেমায় নিচ্ছে না! এ প্রসঙ্গে এই নায়ক বলেন, কে বলেছে ডাকছেন না! গত দেড় বছর আমি নিজে থেকেই চলচ্চিত্র থেকে দূরে আছি। মা অসুস্থ হওয়ার পর ছয় মাস তার সেবা করেছি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাকে বাঁচাতে পারিনি। এখনো সেই শোক কাটিয়ে উঠতে পারিনি। ক্যামেরার সামনে রোমান্স করার মতো স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরেনি মন। তবু চারটি ছবির প্রস্তাব আছে। নির্মাতাদের বলেছি, আরও কয়েক মাস সময় চাই। তারাও সম্মতি দিয়েছেন।’
কেন নিজেকে আড়ালে রেখেছেন, জবাবে বাপ্পী বলেন, সময়টা বদলে গেছে। এখন সবাই সস্তা ভিউয়ের পেছনে ছুটছে। অন্যের মাথা বিক্রি করে কনটেন্ট বানাচ্ছে। এসবের মধ্যে থাকতে চাই না। তারপরও দেখি, আমাকে নিয়ে মনগড়া খবর বানানো হয়। কেন জানি না! চলচ্চিত্রে এক যুগ পার করেছি, ৩৫টির মতো ছবিতে কাজ করেছি। আগে কখনো এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি। তাই ভেবেছি, যতটা আড়ালে থাকা যায় ততটাই ভালো।
এমকে/এসএন