ছয় বছর আগে ছাত্রলীগ নেতাদের হামলায় নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নিয়ে একটি গান তৈরি করেছেন কিংবদন্তি গীতিকবি ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ। এমনটা নিজেই এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন তিনি।
প্রিন্স মাহমুদ লিখেছেন, ‘আবরার ফাহাদকে নিয়ে একটা গান করেছি। এটি আমার সেরা গানের একটি হতে যাচ্ছে। প্রতিটি লাইন সবার প্রিয় হবে।’
সেই সঙ্গে এও জানিয়েছেন, আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি অনেক বড় আয়োজনে গানটি নিয়ে আসছেন তিনি।
ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে ভক্ত-অনুসারীদের অনেকে গানটি নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন। সে প্রশ্নের জবাবে প্রিন্স মাহমুদ ইঙ্গিত দিয়েছেন আরো বৃহৎ এক সংগীত আয়োজনের।
তিনি বলেন, কেউ কিছু করছে দেখে আমি করি- এমন নয়। সময়ের তাগিদে নয়, প্রস্তুতি নিয়েই কাজ শুরু করি। সম্প্রতি বেশ কিছু বাণিজ্যিক কাজ ছেড়েছি শুধু আবরার ফাহাদসহ জুলাই শহীদদের নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করার জন্য। জুলাই বিপ্লবের শহীদ আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, ওয়াসিম আকরাম, শাইখ আশহাবুল ইয়ামিনসহ সাতজনকে নিয়ে কাজ করছি এখন।
এটা কোনো সংবাদ হওয়ার জন্য নয়, একান্ত নিজের তাড়না থেকে করছি। বিশ্বাস করি—সব গান গান হয়ে ওঠে না, কিন্তু এগুলো হবে।
জানা গেছে, প্রিন্স মাহমুদ কেবল একক গান নয়, বরং আগামী বছর বড় এক অ্যালবাম বা প্লে-লিস্ট আকারে শ্রোতাদের সামনে আনতে চান দেশপ্রেম ও শহীদের গান নিয়ে এক বিশেষ আয়োজন।
তার ভাষ্যে, চূড়ান্ত না করে কিছু বলতে চাই না। তবে পরিকল্পনা আছে, আগামী বছর শ্রোতাদের জন্য বড় আয়োজন নিয়ে আসব।
সেখানে আবরার ফাহাদ ও জুলাইযোদ্ধাদের পাশাপাশি থাকছে একাত্তরের চার মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে ভিন্নধর্মী গান। স্বাধীনতা যুদ্ধ, গণহত্যা, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে নতুনভাবে কাজ করছি। ২০০৪-০৫ সালে করা পাঁচটি গানও নতুন সাউন্ডে সাজিয়ে আনছি, যা দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলবে।
এই অ্যালবামের সূচনা হবে ‘আবরার ফাহাদ’ গানটি প্রকাশের মধ্য দিয়ে। পরে সব গান একত্রে অ্যালবাম হিসেবে প্রকাশ করা হবে।
প্রিন্স মাহমুদের ভাষায়, এটি শুধুই শৈল্পিক উদ্যোগ নয়, বরং দেশ ও জাতির প্রতি তার দায়বদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ।
প্রিন্স মাহমুদের সর্বশেষ কাজ ছিল সিনেমা ‘জংলি’–তে। তার সুরে ‘জনম জনম’, ‘মায়াপাখি’, ‘বন্ধু গো শোনো’ ও ‘যদি আলো আসত’ গানগুলো পেয়েছে দারুণ জনপ্রিয়তা।
টিএম/এসএন