জামায়াতকে উদ্দেশ করে সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ভোট হলে জামায়াতের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।’ এ প্রসঙ্গে সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ বলেছেন, ‘তেমনটা আমার মনে হয় না। এবারের নির্বাচনে জামায়াত যথেষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলবে এবং বিএনপিকে হিমশিম খেতে হবে। বিএনপি শরিকদের যত আসন ছাড়বে, ওই আসনগুলো তত বেশি হাতছাড়া হবে।
কারণ এবার ধানের শেষ প্রতীক নিয়ে শরিকরা নির্বাচন করতে পারবে না। ফলে একটা বড় ধরনের কিন্তু ঝুঁকি রয়ে গেছে। এ ছাড়া বিএনপি নিজেই তার ধানের শীষ প্রতীক নিয়েই কিন্তু বড় ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে পড়বে। যদি না নাটকীয়ভাবে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান মাঠে নেমে পরিস্থিতি না ঘোরাতে পারেন।
এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি কিন্তু একেবারে মুখোমুখি অবস্থা। হয়তো কোনো কোনো ক্ষেত্রে জামায়াত এগিয়েও আছে।’ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) নিজের ইউটিউব চ্যানেলে মোস্তফা ফিরোজ এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দীর্ঘ ৯ মাস আপনারা সংস্কারের নামে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন। অনেকগুলো বিষয়ে একমত হলেন। সেই একমত হওয়া বিষয়গুলোর বাইরে কোনো কিছু গায়ের জোরে মানুষের ওপর চাপিয়ে দিতে চান তাহলে তার দায়দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে।’
জামায়াতের সরাসরি সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা কিন্তু ইসলামের অপব্যাখ্যা দিচ্ছেন। আমরা মনে করি, আমাদের কর্মেই হবে আমাদের বেহেশত। আমাদের কর্মের মধ্য দিয়েই আমরা বেহেশতে যাব।
আমি যদি মানুষকে ভালোবাসি, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, রোজা রাখি, মিথ্যা কথা না বলি, সুদ না খাই তাহলে বেহেশতে যাওয়ার একটা পথ তৈরি হবে। জামায়াতের টিকিটেই বেহেশতে যেতে পারবে? কেউ কি পারবে? না পারবে না। যারা এসব মুনাফিকি করে তাদের কাছ থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে।’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা আমরা গ্রহণ করব না, কিন্তু জামায়াতে ইসলামী বলছে পিআর পদ্ধতিতে ভোট হবে, সেটা না করলে নাকি ভোট হবে না। ভাই, ভোটকে এত ভয় পাচ্ছেন কেন? তারা জানে ভোট হলে তাদের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।’
এসএস/এসএন