সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থাকছে না। কিন্তু ইন্টারেস্টিং হচ্ছে আগামী নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করবে আওয়ামী লীগ। আগামী নির্বাচনটা কেমন হবে সেটা আওয়ামী লীগের ওপর নির্ভর করবে। আওয়ামী লীগের ভোট টানার জন্য ইতিমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে।
তার নমুনা আমরা অলরেডি দেখতে শুরু করেছি। নমুনা একাধিক আছে।’
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) নিজের ইউটিউব চ্যানেলে মাসুদ কামাল এসব কথা বলেন।
মাসুদ কামাল বলেন, “মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে একটা মতবিনিময় সভায় বলেছেন, ‘আমরা প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতি করতে চাই না।
আওয়ামী লীগ যেভাবে নির্বিচারে মামলা করেছে আমরা সে পথে হাঁটতে চাই না। বরং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যত মামলা আছে সবগুলোই আমরা তুলে নেব’।”
মাসুদ কামাল বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্য অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। ৫ আগস্টের পরে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যত মামলা হয়েছে এর মধ্যে অনেক হয়রানিমূলক মামলা আছে, যত মামলা আছে, সেই মামলাগুলোর ৯০ শতাংশরও বেশি মামলার বাদী হচ্ছে বিএনপি অথবা যুবদল অথবা ছাত্রদল অথবা স্বেচ্ছাসেবক দলের কোনো না কোনো নেতা বা কর্মী।
এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন মামলা বাণিজ্যের কারণে অনেকে বাড়িতে থাকতে পারে না, দৌড়ের ওপর আছে। আর বিএনপির মহাসচিব বলছে যে তিনি সব হয়রানিমূলক মামলাগুলো তুলে নেবে। আওয়ামী লীগের ভেতরে যত মামলা আছে সব মামলা উনারা উঠিয়ে নেবেন। শুনতে একটু অবিশ্বাস্য লাগে।’
মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের পর বিএনপির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, সেখানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন যে গণমাধ্যমে উনার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, আমি আমার বক্তব্যে বলেছি যে আমরা প্রতিশোধের রাজনীতি করতে চাই না, আওয়ামী লীগের মতো হয়রানিমূলক মামলা করতে চাই না, আমি আমার দেওয়া বক্তব্যে আরো বলেছি যে এই ইউনিয়নে হয়রানিমূলক কোনো মামলা হলে আমরা তুলে নেব। কিন্তু দেশব্যাপী হয়রানিমূলক মামলার দায়ের কিংবা মামলা তুলে নেওয়ার বিষয়ে আমি কোনো বক্তব্য দিইনি।
মাসুদ কামাল বলেন, আওয়ামী লীগের ভোট টানতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্নভাবে বক্তব্য দিচ্ছে। এর বড় কারণ হচ্ছে আওয়ামী লীগ এবার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। আর আওয়ামী লীগের ভোট যার পক্ষে যাবে সে দলেরই জয়ী হওয়ার সম্ভবনা প্রবল। আর এ কারণেই এ ধরনের বক্তব্যে দেওয়া হচ্ছে।
পিএ/এসএন