সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, সরকার এখন কোনো অবস্থাতেই ঝুঁকিতে যাবে না। কোনো কিছু বরদাস্ত করবে না। চট্টগ্রামটাকে সরকার খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা বলে মনে করে। এখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাড়ি।
কাজেই চট্টগ্রামের এই অঞ্চলে যদি আওয়ামী লীগের, ছাত্রলীগের বাড়াবাড়ি হয়, মিছিল মিটিং হয় তাহলে এটা সরকারের জন্য একটি স্পর্শকাতর বিষয়।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।
রনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে যাকে দেওয়া হয়েছে খোদা বকশ চৌধুরী ওনার বাড়ি চট্টগ্রামে। কাজেই চট্টগ্রামে যিনি মেট্রোপলিটন কমিশনার আছেন, ডিসি আছেন, বিভাগীয় কমিশনার আছেন সরকারের সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে সেখানে গিয়েছেন।
সেখানকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং পুরো পরিস্থিতি সরকারের অনুকূলে রাখার একটা কমিটমেন্ট তাদের থাকবে।
গোলাম মাওলা রনি বলেন, চট্টগ্রামের একজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা তার অধীনস্থ কর্মকর্তাদেরকে একটা নির্দেশনা দিয়েছেন। এটা এখন ভাইরাল হয়ে পড়েছে। সন্ত্রাসী বলতে কাদেরকে বুঝানো হয়েছে তা আমরা সবাই বুঝি।
ছাত্রলীগের বা আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী যদি কোনো কর্মকাণ্ড করার চেষ্টা করে এর বাইরে অন্য সন্ত্রাসী যারা আছে তারা তো থাকবেই— তাদের প্রতি ডাইরেক্ট একেবারে গুলি করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
রনি আরো বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারবে না এমন বিধিনিষেধ রয়েছে আওয়ামী লীগের ওপর। অন্যদিকে ছাত্রলীগকে একটি নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করে হয়েছে। ফলে কাগজে কলমে বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক তৎপরতা চালানো এবং সকল বাকস্বাধীনতা, সাংবিধানিক রাইটস, পলিটিক্যাল রাইটস, মিছিল করা, সমাবেশ করা এমনকি নির্বাচন করা এই অধিকারগুলো এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের নেই।
ইএ/এসএন