নিত্যদিনের রান্নায় লবণ, ঝাল বা হলুদের মাত্রা বাড়তি হয়ে যাওয়া অতি পরিচিত বিপত্তি। তরকারি ঝোল হলে পানি বাড়িয়ে বা সবজি যোগ করে স্বাদ সামলে নেওয়া যায়। কিন্তু ঝামেলায় ফেলেন সেই সব শুকনা বা কষা রান্না, যেখানে পানি দেওয়ার সুযোগ নেই। বাড়ির অভিজ্ঞ রাঁধুনিরা জানেন এই পরিস্থিতিতেও স্বাদ বাঁচানোর কিছু ঘরোয়া কৌশল আছে। ঠিক সেই কৌশলগুলো নিয়েই আজকের গল্প।
রান্নার কড়াইতে লবণ একটু বেশি পড়লেই যে পুরো খাবার নষ্ট হয়ে যাবে এমনটা নয়। ময়দা কিংবা আটা দিয়ে ছোট ছোট বল বানিয়ে গরম খাবারের মধ্যে কয়েক মিনিট রেখে দিলে সেই বলগুলো খাবারের বাড়তি লবণ টেনে নেয়। পরে বলগুলো তুলে ফেললেই স্বাদে খানিকটা ভারসাম্য ফিরে আসে। ঘন কষা রান্নায় চাইলে অল্প গরম পানি মিশিয়ে আঁচ কমিয়ে আবার ফুটিয়ে নেওয়ার উপায়ও রয়েছে।
আরো এক সহজ সমাধান পাতিলেবুর রস। রান্না করা খাবারে একটু টক স্বাদ বাড়তি লবণকে সামলাতে দারুণ কাজ করে। টক রস মিশিয়ে কম আঁচে কিছুক্ষণ গরম করলেই স্বাদের তীব্রতা কমে আসে। একইভাবে শুকনা কড়াইতে একটু বেসন ভেজে রান্নায় মিশিয়ে দিলেও লবণের তীক্ষ্ণতা কমে।
ভাজাপোড়া খাবারের ক্ষেত্রেও বাড়তি লবণ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার দরকার নেই। পাকোড়া, কাবাব বা যেকোনো শুকনা নাস্তার ওপর পাতিলেবুর রস ছড়িয়ে দেওয়া যায়। চাইলে কম লবণ দিয়ে বানানো ধনেপাতার চাটনি বা টক দইয়ের ঘন মিশ্রণও ভাজায় মেখে খাওয়া যেতে পারে। এতে স্বাদে ভারসাম্য আসে, আবার খেতেও লাগে আরো মজাদার।
কোথাও চাইলে ফেটানো টক দই বা ক্রিম মেশানোর সুযোগ থাকে এসব উপাদানও অতিরিক্ত লবণের তীব্রতা নরম করে আনে। মানে, রান্নায় সামান্য ভুল হলেও পুরো খাবার বাঁচানোর পথ সবসময় খুলে আছে।
এমকে/এসএন