আওয়ামী লীগের লকডাউন নয়, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ শোনার জন্য মানুষ ঘর থেকে বের হয়নি বলেই রাস্তা ফাঁকা বলে মন্তব্য করেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল। তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে একটা ভাষণ দিয়েছেন। এই ভাষণ নিয়ে কিন্তু নানা আলোচনা হয়েছে। যেমন, শুনেছিলাম উনি দুপুরে ভাষণ দেবেন।
কিন্তু দুপুর কয়টা, সেটা আমরা দুপুর হওয়ার অনেক পরে জানতে পেরেছি। মানে সকাল থেকে আমি জানতে পারছিলাম না উনি ঠিক দুপুর কয়টার সময় ভাষণ দেবেন।’
কথা নামে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক ভিডিওবার্তায় মাসুদ কামাল বলেন, ‘এর আগে আমি কখনো দেখিনি যে, একটা সরকারপ্রধান ভাষণ দেবেন, কিন্তু সেটা কয়টার সময় সেটা জাতিকে জানিয়ে দেওয়া হয় না। কেন জানানো হয়নি জানি না।
কেউ কেউ বলছেন যে প্রধান উপদেষ্টার এই ভাষণ শোনার জন্যই নাকি আজকে রাস্তায় লোকজন এবং যানবাহন একেবারে কম ছিল। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে কর্মসূচি আজ দিয়েছিল অনলাইনে, এই কর্মসূচির পক্ষে কোনো মিছিল মিটিং কিছু হয়নি। অনলাইনে এবং আমি নিজেও কোথাও দেখিনি।
আমি প্রথম ভেবেছিলাম বোধহয় তাদের আহ্বানেই রাস্তায় যানবাহন কম। কিন্তু পরে দেখলাম, মনে হয় তা না। কে জানি একজন বলল যে, প্রধান উপদেষ্টার এই ভাষণ শোনার জন্যই নাকি সব মানুষ সারা দিন ঘরে বসেছিল। কখন উনার ভাষণটা হবে, সেটা শুনবেন। এ জন্য রাস্তায় বের হয়নি।
যদি সুনির্দিষ্ট টাইম দিয়ে দিত তাহলে এরকম হতো না।’
মাসুদ কামাল বলেন, ‘সবশেষে আড়াইটার সময় সেই ভাষণ প্রচারিত হলো। শুনলাম উনি কি বললেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, গণভোট হবে এবং সেই গণভোট হবে নির্বাচনের দিন। মানে বিএনপি যা চেয়েছিল সেটা নির্বাচনের দিন। আর উচ্চকক্ষের যারা ১০০ জন নির্বাচিত হবেন, তারা হবেন সারা দেশে প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে। মানে জামায়াত এবং অন্যান্য ইসলামী সব দল মিলিয়ে যে আটটা দল চাইছিল সেই অনুপাতে এবং এনসিপি এটাই চেয়েছিল।’
‘এখন এটা হওয়ার পর কোন দল কি প্রতিক্রিয়া দেবে সেটা আগামীকাল থেকে দেখা যাবে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কেউই খুশি হয়নি। জামায়াত হয়নি, এনসিপিও হয়নি, বিএনপিও হয়নি। এখন আমার কেন যেন মনে হয়, এই যে সবার মধ্যে আনহ্যাপিনেসটা, এটা মূলত লোক দেখানো। কেউ কেউ বোধহয় হ্যাপি হয়েছে, কিন্তু তারা বলতে চায় না আর কি।’
এমকে/এসএন