রাজনীতিতে স্বচ্ছতা না থাকলে নানা সংশয় তৈরি হয় বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান। তিনি বলেছেন, রাজনীতিতে যখন স্বচ্ছতা থাকে না, তখন নানা রকমের সংশয় তৈরি হয়। একটা ধোঁয়াটে আবহের মধ্যে কে কি করে, সেটা বোঝা যায় না। এখন যে ঘটনাগুলো ঘটছে, সাধারণভাবে ধরে নেওয়া যায়, আওয়ামী লীগ এই কাজগুলো করছে।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটা আরো বেশি প্রমাণিত হয়, যখন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে আওয়ামী লীগের সমর্থক-নেতারা এগুলোর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। নিজের ইউটিউব চ্যানলে দেওয়া এক ভিডিওতে এসব কথা বলেন তিনি।
জিল্লুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যখন আগুন দেওয়া হয়, তখন আবার অন্যরকম ভাবনা তৈরি হয়। এখন কেউ কেউ বলতে পারেন, আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট-স্বৈরাচার। তার কার্যালয়ে আগুন দিলে দোষ কি? দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। অপরাধী হলো তাকে আঘাত করা কোনো সাধারণ নাগরিকের, কোনো রাজনৈতিক বা অন্য কোনো শক্তির কাজ নয়। সেজন্য দেশে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইন আছে।
তিনি বলেন, একটা স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যা অস্বাভাবিক মনে হয়, অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সেটা মনে হয় না। অভ্যুত্থানকালে বা যুদ্ধকালে যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে এগুলো নিয়ে খুব বেশি কথা কেউ বলে না। যদিও যুদ্ধকালীন শিশু, নারী নিরীহ মানুষ তাদের জীবন বিপন্ন করা পৃথিবীর কোনো আইন সমর্থন করে না। যে কারণে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা অপরাধ করেছে, তাদের মধ্যে থেকে যারা হত্যা বিশেষ করে নিরীহ মানুষকে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ ও লুটপাটের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়নি।
এই উপস্থাপক আরো বলেন, এ কথা এখন আর বললে হবে না ২০২৪ এর জুলাই-আগস্টে স্বাভাবিক ছিল ক্ষুব্ধ জনতার প্রতিক্রিয়া। সেই প্রতিক্রিয়া যদি এখনো অব্যাহত থাকে, সেটা কারো বাড়ি ভেঙে, কারো অফিস জ্বালিয়ে, কোনো ব্যক্তির ওপর আক্রমণ করে, সেটা কিন্তু গ্রহণযোগ্য নয়।
সেটা হলে বলতে হবে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে না বা দেশে আইনের শাসন নেই। গণভোট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় জামায়াত বলছে সরকার এখন আর নিরপেক্ষ নয়। দলটির এমন বক্তব্য তুলে ধরে জিল্লুর রহমান বলেন, জামায়াত শক্ত ভাষায় কিছু বলছে। কারণ জামায়াতে ইসলামী যা বলে সবসময় সেই জায়গায় তারা থাকে না। তারা অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে। এমন স্বভাব তাদের রয়েছে।
এসএস/টিএ