মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর রাজনীতি বর্তমান সময়ে প্রাসঙ্গিক হলেও তাকে আবেগ নয়, বরং বাস্তবতার ভিত্তিতে তাকে মূল্যায়ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
রোববার (১৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত মওলানা ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর রাজনীতি বর্তমান সময়ে প্রাসঙ্গিক। তবে আবেগ নয়, বাস্তবতার ভিত্তিতে তাকে মূল্যায়ন করতে হবে। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের ভূমিকায় ভাসানী জনগণকে আন্দোলনে যুক্ত করার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, তা অনুপ্রেরণাদায়ক হলেও বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির চরিত্র ভিন্ন।
মান্না বলেন, এখন আবারো একটি গণঅভ্যুত্থান হওয়ার কোনো লক্ষণ আমি দেখি না। এখন প্রয়োজন একটি নির্বাচন। একটি সাকসেসফুল নির্বাচন আমাদেরকে গণতন্ত্র উত্তরণের অর্ধেকটা পথ পার করে দিতে পারে। নির্বাচন কি একটা গণঅভ্যুত্থান হতে পারে? নির্বাচন কোনো গণঅভ্যুত্থান হতে পারে না। এই নির্বাচন আগের যেকোনো সামগ্রিক পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনীয় নয়।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আগে ন্যায়বিচার হয়নি বলে অভ্যুত্থান হয়েছে। এখনো যদি আমরা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে না পারি, শুধু ফ্যাসিস্টদের গালাগাল এবং স্থাপনা উৎখাত করলে ফ্যাসিস্ট দূর করা সম্ভব নয়। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে ফ্যাসিস্টদের বিতাড়ন করা সম্ভব হবে না।
তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য নির্বাচনের প্রয়োজন। আমরা জনগণের পক্ষের শক্তি হয়ে থাকতে চাই। একটি-দুটি সিটের জন্য আমরা কারো পেছনে হাঁটছি না। ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে যে যুগপৎ লড়াই করেছি, সেই কাজ সম্পূর্ণ করা পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্তব্য পালন করব।
টিজে/টিকে